সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে (UEFA Champions League) গোলের ফোয়ারা। বার্সেলোনা ও বেনফিকার ম্যাচে হল ৯টি গোল। ১-৩ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ৫-৪ গোলে জিতল বার্সেলোনা। যোগ্যতা অর্জন করল শেষ ষোলোর। বার্সার হয়ে জোড়া গোল লেওয়ানডস্কি ও রাফিনহার। বেনফিকার পাভলিদিস হ্যাটট্রিক করেও হার ঠেকাতে পারলেন না। ইউসিএলের অন্য ম্যাচে জয় পেল লিভারপুল, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও।
অ্যাওয়ে ম্যাচে দ্বিতীয় মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা। ১৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান লেওয়ানডস্কি। কিন্তু পাভলিদিসদের আক্রমণে প্রথমার্ধে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয় স্পেনের ক্লাব। ২২ মিনিটে শিশুসুলভ ভুল করেন গোলকিপার সেজনি। বক্সের অনেকটা বাইরে চলে এসে বল আটকানোর চেষ্টা করতে ধাক্কা লাগে বার্সারই বালদের সঙ্গে। সেই সুযোগে ফের গোল করেন বেনফিকার পাভলিদিস। ৩০ মিনিটে ফের সেজনির ভুল। পেনাল্টি থেকে ৩-১ করেন পাভলিদিস।
দ্বিতীয়ার্ধে ফেরমিন লোপেজ ও ডি জং-কে নামাতে অনেক বেশি সংঘবদ্ধ হয়ে ওঠে হান্সি ফ্লিকের দল। ভাগ্যও সঙ্গ দেয়। এবার বেনফিকার গোলকিপার ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল মেরে বসেন রাফিনহার মাথায়। বল সোজা জালে জড়িয়ে যায়। ইয়ামালরা যখন ফের গোল করার জন্য মরিয়া, তখন আচমকাই আত্মঘাতী গোল করে ফেলেন আরাউহো। ম্যাচের বয়স তখন ৬৮ মিনিট।
কিন্তু ম্যাজিক তখনও বাকি ছিল। ৭৮ মিনিটে ফের পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। গোল করতে ভুল করেননি লেওয়ানডস্কি। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে পেদ্রির ভাসানো বল থেকে হেডে সমতা ফেরান বার্সার এরিক গার্সিয়া। তখনও মনে করা হচ্ছিল, ম্যাচ হয়তো ড্র হবে। শেষবেলায় ফের জ্বলে উঠলেন রাফিনহা। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে একক দক্ষতায় ঢুকে পড়েন বেনফিকার বক্সের মধ্যে। গতি ও স্কিলে ডিফেন্ডারদের মাটি ধরিয়ে বার্সার জয় নিশ্চিত করেন তিনি। এই জয়ের ফলে ৭ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলা নিশ্চিত হয়ে গেল বার্সেলোনার। ইউসিএলের অন্য ম্যাচে জয় পেয়েছে লিভারপুল ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.