Advertisement
Advertisement
Mohun Bagan

‘সমর্থকদের বিশ্বাসের দাম রেখে ভালো লাগছে’, বলছেন বিশাল, গোল করে ঘোরে ছিলেন আপুইয়া!

কাইথের বিশাল হাত ধরেই মোহনবাগানে আলোর উৎসবের সূচনা হয়ে গেল শনিবার।

What did Vishal Keith say after winning the derby in the IFA Shield final? Apuya was stunned by the goal
Published by: Prasenjit Dutta
  • Posted:October 18, 2025 10:10 pm
  • Updated:October 18, 2025 10:34 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বলে নায়ক হওয়া। একে হয়তো জবাব দেওয়াও বলে। আইএফএ শিল্ড ফাইনালে বিশাল কাইথের সোনালি দস্তানায় ১২৫তম আইএফএ শিল্ড জিতে নিয়েছে মোহনবাগান। বড় মঞ্চে এভাবে আগেও জবাব দিয়েছেন তিনি। শনিবাসরীয় সন্ধ্যায় তারই যেন পুনরাবৃত্তি ঘটালেন। আর ম্যাচ জিতে সমর্থকদের বিশ্বাসের দাম রাখতে পেরে তিনি খুশি। 

Advertisement

গত মরশুমেই ৫০টি ক্লিন শিটের জন্য বিশেষ পুরস্কার পেয়েছিলেন। দস্তানা হাতে স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন সবুজ-মেরুন গোলরক্ষক। আইএসএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ক্লিন শিট রাখার রেকর্ড তাঁর নামেই। এআইএফএফের বর্ষসেরা গোলরক্ষকের সম্মানও পেয়েছিলেন। এত কিছুর পরেও জাতীয় দলে ডাক পাননি। তাই মাঠেই জবাব দিতে তৈরি ছিলেন। মোহনবাগানকে চলতি মরশুমে প্রথম ট্রফি জিতিয়ে যোগ্য জবাব দিলেন ২৯ বছরের এই গোলকিপার।

কাইথের বিশাল হাত ধরেই মোহনবাগানে আলোর উৎসবের সূচনা হয়ে গেল শনিবার। টাইব্রেকারে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে ৫-৪ গোলে হারিয়েছে মোলিনা ব্রিগেড। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফলাফল ১-১ থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। প্রথমে আহদাদের গোলে পিছিয়ে পড়লেও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে আপুইয়ার গোলে সমতায় ফেরে মোহনবাগান। ২৫ বছর বয়সি আইজলের এই ফুটবলার জানিয়েছেন, তিনি ঘোরে ছিলেন। বলছেন, “ওটা গোল ছিল কি না প্রথমে বুঝতে পারিনি। সহকারী রেফারির সিদ্ধান্তের পর নিশ্চিত হই।”

উল্লেখ্য, ডানদিক থেকে সাহালের ভাসানো বল পান লিস্টন। সেখান থেকে আপুইয়া। তাঁর শট বারে লেগে মাটিতে ড্রপ খেয়ে বেরিয়ে আসে। বল গোললাইন পেরনোয় লাইন্সম্যান গোলের সিদ্ধান্ত দেন। এরপর কোনও পক্ষই কোনও গোল করতে পারেনি। অতিরিক্ত সময়েও ফলাফল থাকে ১-১। শেষমেশ ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয় টাইব্রেকারে। সেখানে বিশাল কাইথ টেক্কা দিলেন বিপক্ষকে। ২২ বছর পর শিল্ড ঘরে তুলল সবুজ-মেরুন।

লাল-হলুদের নতুন ডিফেন্ডার জয় গুপ্তার শট যেভাবে বাজপাখির মতো উড়ে গিয়ে বাঁচালেন বিশাল, তা প্রশংসাযোগ্য। এভাবেই হয়তো নায়করা জবাব দিতে জানেন। বিশালের চওড়া হাতই যে কঠিন পরিস্থিতিতে ত্রাতা মোহনবাগানের। জাতীয় দলের নির্বাচকরা কি ম্যাচটা দেখলেন? উত্তর অজানা। তবে ম্যাচ জিতে তিনি বললেন, “যে কোনওভাবে গোল বাঁচাতে হবে। এটাই লক্ষ্য ছিল। রোজই পেনাল্টি অনুশীলন করি। তারই হয়তো ফল পেয়েছি। অনেক সমর্থক এসেছিলেন আমাদের হয়ে গলা ফাটাতে। সমর্থকদের বিশ্বাসের দাম রাখতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আশা করি, আগামিদিনেও এভাবেই তাঁদের সমর্থন পাব।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ