Advertisement
Advertisement
Aroop Biswas

‘টুটু বোস ময়দানের কল্পতরু’, ভবানীপুরের অ্যাকাডেমির উদ্বোধনে আবেগে ভাসলেন ক্রীড়ামন্ত্রী

অ্যাকাডেমিতে ভালো কোচ নিয়োগে জোর দিলেন অরূপ বিশ্বাস।

Now Sports Minister Aroop Biswas praises Tutu Bose on inaugurating Bhavanipur Academy
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:June 29, 2025 10:46 pm
  • Updated:June 30, 2025 12:01 am  

স্টাফ রিপোর্টার: রবিবার সন্ধ্যায় স্টেজে বসে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ভবানীপুর স্পোর্টস এন্ড ইউথ ফাউন্ডেশনের মাঠের মখমলের মতো সবুজ ঘাসের দিকে তাকিয়ে ছিলেন দীর্ঘক্ষণ। যখন বক্তব্য রাখতে উঠলেন তখন আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না। আপ্লুত কণ্ঠে বলে উঠলেন, “এই প্রয়াস সার্থক হোক।”

তৃণমূল স্তর থেকে প্রতিভা তুলে আনার জন্য তাঁর নেতৃত্বে রাজ্য সরকারের তরফে আটটি অ্যাকাডেমি তৈরি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ক্রীড়ামন্ত্রীর একটা দূর্বল জায়গা যে কোনও ক্রীড়া অ্যাকাডেমি। চোখের সামনে রাজ্যে আরও একটা ভালো মানের অ্যাকাডেমি দেখে মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস, যিনি এই অ্যাকাডেমির অন্যতম রূপকার তাঁকে অভিনন্দন না জানিয়ে পারলেন না রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী। যোগ করলেন, “মা বাবার বিবাহবার্ষিকীতে এমন একটা অনুষ্ঠান করে এমন ফুটবল আর ক্রিকেট তৈরির কারখানার শুরু করল টুম্পাই। আমার থেকে ছোট হলেও অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই। উল্লেখ্য, এদিনই ছিল আবার মোহনবাগান প্রাক্তন সভাপতি স্বপনসাধন(টুটু) বোসের বিবাহবার্ষিকী।

একই সঙ্গে স্বপনসাধন বোসকে শুধু মোহনবাগানের প্রাণপুরুষ বা শিল্পপতি বলে থেমে থাকেননি। স্বপনসাধন বোসকে তিনি বলেছেন, উনি একজন শুধু ফুটবল পাগলই নন, টুটুদা কল্পতরু মানুষ। আমি এটুকু জানি যে অনেকে নিতে এসেছেন। ময়দানে একমাত্র লোক যিনি শুধু দিতে এসেছেন। আজ মোহনবাগানের ইনভেস্টর আছে কিন্তু যখন ছিল না তখন টুটু বোস ছিলেন।”

একই সঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রীর পরামর্শ, শুধু অ্যাকাডেমি খুললেই চলবে না। ভালো কোচ নিয়োগ করতে হবে। ভালো কোচই খুদে ক্রীড়াবিদদের ব্যাকরণ ঠিক করে দেন বলে অভিমত অরূপ বিশ্বাসের। রাজ্য সরকারের আটটি ক্রীড়া অ্যাকাডেমির বর্ণণা দিতে গিয়ে সাফল্যের খতিয়ানও তুলে ধরেন ক্রীড়ামন্ত্রী।

একইসঙ্গে রাজ্যের ক্রীড়া পরিকাঠামোর ও সাফল্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবিষ্যত দেখতে পারেন। ভারতবর্ষের ফুটবলের সব ট্রফি বাংলায় এসেছে, বাংলায় আবার ফুটবল ফিরে এসেছে। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য হয়েছে। আশি কোটি টাকার বাজেটকে আটশো কোটি টাকা করেছেন। কেউ ভেবেছিল আগে, সন্তোষ জিতে ফিরতে পারল না ফুটবলাররা… পরের দিনই চাকরি। আমাদের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় স্তরে সোনা, রূপো, ব্রোঞ্জ পেলেই চাকরি। সারা রাজ্যে ৭৮ টা স্টেডিয়াম গড়েছে সরকার।” কিছুদিন আগেই কলকাতা ফুটবল লিগে ভূমিপুত্র বাড়ানোতেও রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement