স্টাফ রিপোর্টার: সুলের পর নয়াদিল্লি। জুনিয়র শুটিং বিশ্বকাপে ফের পদক পেলেন বাংলার তরুণ শুটার আদ্রিয়ান কর্মকার। অলিম্পিয়ান শুটার জয়দীপ কর্মকারের পুত্র আদ্রিয়ান রবিবার রুপো পেয়েছেন ৫০ মিটার থ্রি পজিশন ইভেন্টে। মাস চারেক আগে জার্মানির সুলে জুনিয়র বিশ্বকাপে এই ইভেন্টে অবশ্য ব্রোঞ্জ এসেছিল তাঁর ঝুলিতে।
৫০ মিটার থ্রি পজিশনের পাশাপাশি ৫০ মিটার প্রোন পজিশন ইভেন্টেও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন আদ্রিয়ান। সুলে-তে পদক পেয়েছিলেন দুই ইভেন্টেই। ৫০ মিটার প্রোন পজিশনে এক নম্বর বাছাই হলেও নয়াদিল্লিতে সেই ইভেন্টে আদ্রিয়ান নামতে পারেননি ভুল বোঝাবুঝির জন্য। সেই ভুল বোঝাবুঝির অবসান হতে হতে চলে গিয়েছিল প্রতিযোগিতায় নাম নথিভুক্ত করার শেষ তারিখ। ফলে শুধুমাত্র ৫০ মিটার থ্রি পজিশন ইভেন্টে ভারতের রাজধানীতে হওয়া জুনিয়র বিশ্বকাপে নেমেছেন আদ্রিয়ান। অর্থাৎ পদক জয়ের একটাই সুযোগ ছিল এই বঙ্গ শুটারের কাছে। সেই সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। ফাইনালে আদ্রিয়ানের লড়াই ছিল মূলত রুশ শুটার দিমিত্রি পিমেনোভের সঙ্গে। একটা সময় পর্যন্ত তুল্যমূল্য লড়াই চলে। তবে শেষ তিন রাউন্ডে লক্ষ্য থেকে কিছুটা সরে যান আদ্রিয়ান। শেষ পর্যন্ত ৪৫৪.৮ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় হন তিনি, ৫.১ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে।
শেষ তিন রাউন্ডে যথাক্রমে ৮.৬, ৯.১ এবং ৯.৩ স্কোর করেছেন আদ্রিয়ান। সেখানেই তাঁকে টেক্কা দিয়ে যান দিমিত্রি। কিন্তু হঠাৎ কেন পিছিয়ে পড়লেন বঙ্গ শুটার? তাঁর বাবা তথা কোচ জয়দীপ বলছিলেন, “শেষ তিন রাউন্ড নিয়য়ে আদ্রিয়ানের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হল, ও নিজেও বুঝতে পারছে না কোথায় সমস্যা হয়েছে। সাধারণভাবে প্রতিযোগিতার শেষদিকে ওর পারফরম্যান্স গ্রাফ উপরের দিকে ওঠে। তবে এবার ভিন্ন ছবি দেখলাম।” অবশ্য ষষ্ঠীর দিন ছেলে রুপো পাওয়ায় অখুশি নন জয়দীপ। “রং যাই হোক, পদক সবসময়ই একজন ক্রীড়াবিদকে খুশি করে। তাই সোনা হলে হয়তো বেশি ভালো লাগত। তবে রুপো হলেও আমি অখুশি নই,” বার্তা গর্বিত পিতা জয়দীপ কর্মকারের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.