ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সপ্তাহে ঘাসের কোর্টে গত দু’বারের চ্যাম্পিয়ন কার্লোস আলকারাজকে হারিয়ে উইম্বলডন জিতে নিয়েছেন তিনি। আর এবার সেই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে টেনিসের ‘বিগ ফোরে’র কীর্তি স্পর্শ করলেন ইয়ানিক সিনার। প্রথম ইটালীয় খেলোয়াড় হিসেবে সেরাদের তালিকায় নিজের নাম লিখিয়েছেন তিনি। এই মুকুট জয়ের মাধ্যমে গ্রেটদের অভিজাত ক্লাবে যোগ দিয়েছেন ২৩ বছর বয়সি এই তারকা।
এই কীর্তি রয়েছে ‘বিগ ফোর’ রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদাল, নোভাক জোকোভিচ এবং অ্যান্ডি মারের। ১২,০৩০ এটিপি পয়েন্ট নিয়ে এবার তাঁদের সঙ্গে একাসনে বসে পড়লেন সিনার। উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়ে এটিপি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করে নিয়েছেন তিনি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, টানা ৫৮ সপ্তাহ ধরে প্রথম স্থানে রয়েছেন। ২০২৪ সালের শুরু থেকে পুরুষদের টেনিসে একপ্রকার আধিপত্য বজায় রেখে তিনি জিতে নিয়েছেন ৯৯টি ম্যাচ। হেরেছেন মাত্র ৯টিতে।
গত মাসে ফরাসি ওপেনের ঐতিহাসিক ফাইনাল হারের যে জ্বালাটা ছিল, উইম্বলডনে এসে তার বদলা নিয়েছিলেন সিনার। তরুণ এই টেনিস তারকা এখন ১২ হাজারের উপর এটিপি পয়েন্টের মালিক। যা তাঁর কেরিয়ারের সর্বোচ্চ পয়েন্ট। ১৯৯০ সালের পর সিনার পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে ১২ হাজার পয়েন্টের গণ্ডি অতিক্রম করেছেন। এর আগে কেবল ফেডেরার, নাদাল, জোকোভিচ এবং মারে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
এখানেই শেষ নয়। ১৯৯৫ সালের পর প্রতিটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে ওঠার নজির গড়েছেন সিনার। পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর এই রেকর্ড। উল্লেখ্য, গত বছর ৮টা এটিপি শিরোপা জয়ী হয়েছিলেন তিনি। চলতি বছর জানুয়ারিতে তিনি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছেন।
ডোপিংয়ের কারণে তিন মাস নিষেধাজ্ঞা ছিল সিনারের উপর। তার পরেও ১২ হাজারের বেশি এটিপি পয়েন্ট অর্জন করে টেনিস বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে মারে ১২,৬৮৫ এটিপি পয়েন্ট পেয়েছিলেন। সেই নজির ভেঙে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে সিনারের কছে। ২০০৯ সালে নাদাল পৌঁছেছিলেন ১৫,৩৯০ এটিপি পয়েন্টে। ফেডেরার ২০০৬ সালে ১৫,৪৯৫ এটিপি পয়েন্ট অর্জন করেছিলেন। যদিও সবার উপরে রয়েছেন জোকোভিচ। ২০১৬-তে ১৬,৯৫০ এটিপি পয়েন্ট অর্জন করেছিলেন ‘জোকার’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.