সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের শুরুটা ছিল কেপটাউনে। যেখানে যাওয়া মাত্রই তীব্র জলের অভাবে ভুগতে হয়েছিল বিরাট কোহলিদের। স্নান করা থেকে শুরু করে গোটা দিনের জলখরচের উপর জারি হয়েছিল বাধা-নিষেধ। সে ক’দিনেই কেপটাউনের স্থানীয় মানুষের অবস্থাটা বেশ ভালই বুঝেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা। আর তাই সিরিজ শেষ হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার এই শহরের পাশে দাঁড়াল কোহলি অ্যান্ড কোং।
নিউল্যান্ডস স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টে মুখ থুবড়ে পড়লেও এই মাঠেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে হাসি মুখে সফর শেষ করে ভারতীয় দল। আর তাই এ শহরকে খালি হাতে আলবিদা জানাতে পারলেন না বিরাট-ধোনি-রোহিতরা। এমন জল সংকটে কেপটাউনবাসীর পাশে দাঁড়ালেন তাঁরা। টিম ইন্ডিয়া ও প্রোটিয়া দলের তরফে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হল। রবিবার নিউল্যান্ডসে ক্যাপ্টেন কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসি চেকটি তুলে দেন গিফট অফ গিভারসের হাতে।
টানা খরায় শুকিয়ে কাঠ শহরের পরিবেশ। বৃষ্টির নাম-গন্ধ নেই। পরিস্থিতি এতটাই করুন হয়ে পড়ে, যে নাগরিক পিছু দিনে ৮৭ লিটারের বেশি জল ব্যবহার না করার নির্দেশ জারি করে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার। ফলে ক্রিকেট মাঠেও যথেষ্ট পরিমাণ জল ব্যবহার করা যায়নি। এসব দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছেন বিরাট-ডু প্লেসিরা। প্রোটিয়া দলের টেস্ট নেতা ডু প্লেসি তাই অর্থ সাহায্যের পর বলছিলেন, “কেপটাউনে জলের অভাব ঠিক কতখানি, তার অভিজ্ঞতা দু’দলেরই হয়েছে। তখনই বিরাটের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করি, নিজেদের কিছু সই করা জার্সি নিলাম করব। আর সেখান থেকে যে অর্থ পাওয়া যাবে তা কেপটাউনের জল কষ্ট দূর করার কাজে তুলে দেব। যাতে সাধারণ মানুষের খানিকটা হলেও সুরাহা হয়। আর এভাবেই বাকিদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানোর চেষ্টা করেছি আমরা।”
বিরাটের মুখেও একই কথা শোনা গেল। বললেন, “বিশ্বের অন্যতম সুন্দর শহর কেপটাউন। নিউল্যান্ডসে খেলতে এলেই স্থানীয়দের কাছ থেকে খুব সুন্দর অভ্যর্থনা পাই। তাই তাঁদের জন্য ক্ষুদ্র প্রয়াস। এই কাজের মধ্যে দিয়ে সমাজকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি আমরা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.