‘পাবলি�?গান্ধী�?এই বইয়ে�?অন্যতম চর্চিত বিষয়�?বাংলায় বললে ‘জনসাধারণে�?গান্ধী’। কেমন সে�?রূ�? রামচন্দ্�?গু�?সূত্রাকারে বলতে বলতে গিয়েছে�?এইভাবে–মহাত্মা গান্ধী সে�?অটুট মনোবলের সমাজ সংস্কারক যিনি অস্পৃশ্যতা�?বিরুদ্ধে নিরল�?সংগ্রা�?করেছেন�?গান্ধী হলেন সে�?স্থিতপ্রজ্�?সমাজ সংস্কারক যিনি ভারতের দু’ট�?জনগরিষ্ঠ সম্প্রদা�?হিন্দু �?মুসলমানে�?মধ্য�?সম্প্রীতি �?ভালবাসার সেতু নির্মা�?করতে চেয়েছিলেন। গ্রামে�?দারিদ্র�?�?বেকারি দূ�?করতে চরকা চালানোর ডা�?দিয়েছিলেন। লক্ষ্য ছি�? মানু�?আর্থিকভাবে স্বয়ংসিদ্ধ হোক�?কংগ্রেসে�?প্রতিও ছিলে�?সমান দায়বদ্ধ। সবরমতী আশ্রমে�?নানা কাজে ব্যস্ত থাকলেও কংগ্রেসে�?বার্ষি�?অধিবেশনে হাজিরা দেওয়ার সম�?বে�?করতে কখনও অসুবিধায় পড়েননি। দলের সভাপতি নির্বাচনের হা�?প্রোফাই�?বৈঠকেও পালন করতে�?সক্রিয় ভূমিকা�?আবার এই মানুষটিই ব্রিটি�?সাম্রাজ্যবাদের নিরসনে সংগঠিত করেছিলেন সর্বাত্ম�?গণ-আন্দোলন, যেখানে পরাধী�?দেশে�?জনতা জা�? শ্রেণি �?ধর্মের বিভাজন উপ��ক্ষ�?কর�?স্বতঃস্ফূর্তভাবে অং�?নিয়েছিল। তাঁর রণকৌশলে প্রাধান্�?পেয়েছি�?দু’ট�?বীজমন্ত্র–অহিংস অসহযোগিতা এব�?সত্যের সাধনা।

[সখী পরকীয়া কারে কয়?]

গান্ধী�?চরিত্রের এই দিকগুল�?স্বল্পালোচি�?তে�?নয়�? বর�?নিবিড় গবেষণা�?ঋদ্ধ�?আলোচ্�?বইয়ে�?‘দ্য মরালিস্ট�?অধ্যায়�?রামচন্দ্�?গু�?অবশ্�?আগ্রহী হয়েছেন অন্তর্মুখী অভিযাত্রায়�?গান্ধীজি�?ব্যক্তিগ�?বিশ্বাসভূম�?সন্ধানে। ১৯২০-�?দশকে তাঁর বহুধাবিস্তৃত কর্মকাণ্ডে এব�?লেখা�?এব�?বাচন�?যে ‘ব্যক্তিগত নৈতিকতা�?�?(‘পার্সোনা�?মর‌্যালিটি�? রশ্ম�?বিদ্�?হয়েছিল�?রামচন্দ্�?গু�?গভী�?অধ্যয়ন�?সে�?নৈতি�?চেতনার সঙ্গ�?পাঠকের আলাপ করিয়�?দিতে চেয়েছেন। গান্ধীজয়ন্তীতে তারই অংশত অনুবাদ�?/p>

গান্ধীজি’র মা ছিলে�?‘প্রণমী�?সম্প্রদায়ে�?অনুগামিনী�?প্রণমীদে�?মন্দির�?এক�?সঙ্গ�?গীতা �?কোরানের বাণী উদ্ধৃত থাকে�?তিনি মায়ে�?সঙ্গ�?মন্দির�?যেতেন। খেয়া�?করতে�?উপাসনা পদ্ধতি�?আবার, বাড়িত�?মা যখ�?উপবা�?রাখতেন, সেটা�?মন দিয়ে লক্ষ করতে ভুলতেন না�?বইয়ে�?মাধ্যম�?হিন্দু ধর্মের সঙ্গ�?তাঁর সংযোগ (‘টেক্সচুয়া�?আন্ডারস্ট্যান্ডিং�? গড়ে উঠেছিল লন্ডনে থাকা�?সম�?থেকে�?‘ভগবদ্গীতা�?তখ�?প্রথ�?পড়েন। এব�?তারপ�?থেকে আমৃত্য�?‘গীতা�?�?ছি�?তাঁর প্রিয়ত�?বই�?১৯২৬ সালে�?গ্রীষ্মে, পাবলিক লাইফ থেকে সাময়িক অব্যাহতি নিয়ে যখ�?সবরমতী আশ্রমে একান্ত ঘনিষ্ঠদে�?সংস্পর্শ�?��ৃতিবদ্ধ জীবন কাটাচ্ছে�? তখ�?‘গীতা�?�?মর্ম-আশ্রয়ী কিছু ডিসকোর্�?কথাচ্ছলে উপস্থাপন করেছিলেন�?তাঁর দৃঢ় বিশ্বা�?ছি�? ‘গীতা�?এম�?একটি মহাগ্রন্�?যা ইতিহাসের কষ্ঠিপাথরে ঘষামাজ�?কর�?পড়ত�?গেলে�?বিপদ! বইটি পড়ত�?হব�?রূপকার্থের চাকটিক�?না ভেঙেই। গান্ধীজি�?মত�? যে বাহ্�?পরিবেশ গীতা�?পরিপ্রেক্ষিত �?আব�?রচনা করেছ�? তা মানুষি�?প্রবণতার দ্বান্দ্বি�?সমাহার বোঝানো�?জন্য�?ব্যবহৃত। এর অতিরিক্ত কোন�?ভূমিকা নে�?সে�?পারিবেশি�?বাস্তবতার। গান্ধীজি এও মন�?করতে�?যে, ‘গীতা�?�?যে যে না�?পাওয়�?যা�? সেগুলি মানুষে�?না�?নয়�?অর্থাৎ নামভূমিকায় কোন�?রক্তমাংসের মানুষে�?অস্তিত্ব খুঁজতে গেলে ঠকতে হবে। ওই নামগুল�?প্রকৃতপ্রস্তাব�?গুণান্বি�?মানবময়তা�?কিছু চরিত্রলক্ষ�?তুলে ধরে।

[রাফালে ইস্য�? বদলা না কি বদ�?]

গীতা-�?কৃষ্�?উপদেশাত্মক অভিপ্রায়�?অর্জুনকে বলেছিলেন, কোন�?সম্পদই আপ�?জ্ঞানে অধিকার কর�? ভোগ কর�?�?রক্ষ�?করার মানসিকতা পরিত্যাগ করো�?চেষ্টা করো নিরাসক্ত হতে। এই দৃষ্টান্তে�?ছায়া�?গান্ধীজি আশ্রমজীবনের উদ্দেশ্য �?বিধে�?নিরূপণ করতে চেয়েছিলে�?সহ-আশ্রমিকদের কাছে�?তাঁর মত�? আশ্রমে যা কিছু আছ�?ভেবে নি�?তা আমাদের যতটা, ততটা�?অন্যের�?তা�?সম্পদে�?আরোহণ, সংগ্রহ �?সঞ্চয়ে অবিচ�?থাকত�?শেখো। এটাই নিরাসক্তির সাধনা। এই সাধনার ভিতর দিয়ে�?‘স্থিতপ্রজ্ঞ�?হওয়া সম্ভব। ‘স্থিতপ্রজ্ঞ�?কে? না, যে যাবতী�?আসক্তি এব�?বিতৃষ্ণা জয় করতে পেরেছে! ‘গীতা�?কে উপজীব্�?কর�?দেওয়�?বক্তৃতামালায় গান্ধীজি বারবার জোর দিয়েছিলে�?‘গীতা�?কথিত পরিণামের কথ�?বিস্মৃ�?হয়�?একাগ্র অধ্যবসায়�?নিষ্কা�?কর্ম কর�?চলার উপর। ‘কর্ম�?কী? যা আমরা নিজে�?ইচ্ছ�?�?খুশিতে সম্পাদ�?কর�? তা-�?কি ‘কর্ম�? না�?গান্ধীজি মন�?করতে�? ‘কর্ম�?হল তা-�? যা পরিস্থিত�?আমাদের উপায়হী�?হয়�?সম্পাদ�?করতে প্রবুদ্ধ করে। কিন্তু গীতা-�?‘কর্ম�?বাধ্যবাধকতায় কর�?কা�?নয়�?জ্ঞা�?�?আত্মবিবেচনায় তাড়িত হয়�?মানু�?যা কর�?সেটা�?গীতা�?ভাষ্যে প্রকৃষ্ট কর্ম�?/p>

‘বহুত্ববাদ�?�?অহিংসা�?এই দু’ট�?স্তম্ভের উপ�?নির্ভর কর�?গান্ধী�?সমাজ-রাজনৈতিক দর্শ�?গড়ে উঠেছিল�?অন্যদিকে, ব্রহ্মচর্য�?উপ�?ভর কর�?গঠিত হয়েছিল তাঁর নৈতি�?চেতনার বিশ্বাসভূমি। যুবা সময়ে গান্ধীজি আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও পারেনন�?ব্রহ্মচর্যময় জীবনযাপন�?নিজেকে সঁপে দিতে�?১৯০৬ সালে তিনি পাকাপাকি শপ�?নে�?সেক্�?বর্জিত ব্রহ্মচর্যের অনুশাসনে জীবন বাহি�?করার।ব্রহ্মচর্�?পালন ছি�?আশ্রমে�?অবশ্যপালনী�?কৃত্য। প্রতিট�?আশ্রমিকে�?জন্য�?এই নিয়ম ধার্�?করেছিলেন তিনি�?তাঁর মত�? ব্রহ্মচর্য পালন এক ধরনে�?আত্মোৎসর্গ। নৈত����?শুদ্ধত�?বজায় রাখা�?মাধ্যম�?সরলাদেবী চৌধুরানির সঙ্গ�?গান্ধীজি�?সম্পর্কে প্যাশনের বাষ্পটুক�?ছি�?না, তা বললে অন্যায় হবে। কিন্তু ব্রহ্মচর্য রক্ষার ব্রত থেকে এরপরেও গান্ধীজি সর�?আসেননি�?আশ্রমে�?স্কুলপড়ুয়াদের মধ্য�?ছাত্�?�?ছাত্রী উভয়ই ছিল। এইভাবে ছাত্�?�?ছাত্রীদে�?একযোগ�?শিক্ষাদানে প্রবুদ্ধ করার মধ্য�?গান্ধীজি খুঁজ�?পেয়েছিলে�?‘সংবেদনশীলতা�?�?আস্বাদ�?একইসঙ্গে এট�?ছি�?তাঁর কাছে চমকে দেওয়ার মতো ‘মহৎ নিরীক্ষা’।

[রামধনু ক্ষণস্থায়ী, ধারণ�?মনের আকাশ তৈর��� তো!]

গুজরাত�?সমাজ বরাবরই ভীষণ রক্ষণশীল। তা�?ছাত্�?ছাত্রীদে�?নির্দিষ্�?কয়েকটি ‘আশ্রমিক বিধি�?মেনে চলতে বলেই দিয়েছিলেন। সে�?আশ্র�?বিধি মোতাবেক, ছাত্রর�?আলাদ�?পঙ্‌ক্তিত�?বসবে�?ছাত্রীরা বসবে অন্য সারিতে�?তারা না পারব�?নিজেদে�?মধ্য�?কথাবার্ত�?বলতে, না পারব�?খোলামনে মেলামেশা করতে�?পরস্পরকে স্পর্শ কর�?তে�?প্রা�?অচিন্ত্যনীয়। গান্ধীজি’র কড়া অনুশাস�?ছিল�?দৈহি�?সংস্পর্শ�?ব্রহ্মচর্য ব্যাহত হয়�?১৯২০-�?গোড়া�?দিকে আশ্রমে�?স্কুলে গান্ধীজি ব্রহ্মচর্য রক্ষ�?কর�?চ���ার সপক্ষে বলেছিলেন�?যত দি�?যাচ্ছে �?কথার সত্যতা আম�?তত�?জলের মতো স্পষ্ট বুঝত�?পারছ�?যে কে�?যদ�?দেশে�?সেবা�?আত্মনিয়োগ করতে চা�? তাহল�?তাকে দেহরসে�?সংরক্ষণে অগ্রণী হত�?হবে। সুতরাং তোমরা (মূলত পুরুষদের উদ্দেশ�?বল�? দেহরসে�?সংরক্ষণে যত্নবা�?হও�?তাহলেই সতেজ �?সব�?শরী�?গঠ�?করতে পারবে। এই ৫১ বছ�?বয়সে�?আমাক�?যে তোমরা তেজোদীপ্�?দেখত�?পাচ্�?তা�?কারণ আম�?সংযমের অভ্যাস করেছ�? ব্রহ্মচর্য পালন করেছি। এই কাজট�?যদ�?আম�?যৌবনে�?শুরুতে করতা�? তাহল�?আজ যে আম�?কোন উচ্চতা�?অধিষ্ঠিত হতাম!

(অনুবাদ সংক্ষেপি�? নির্বাচি�?