জীবনের দু’ট�?বড�?পরীক্ষা হচ্ছ�?না বল�?যাঁর�?গে�?গে�?রব তুলছেন, তাঁর�?মন�?হয়, একটু অতিরিক্ত উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। স্কুলে না যেতে পারা�?ক্ষত�?পড়ুয়াদে�?হয়েছে। গত দেড় বছ�?ধর�?স্কু�?কলেজ এব�?বিশ্ববিদ‌্যালয়ের দরজা বন্ধ�?এই ক্ষত�?অপূরণীয়। কিন্তু হয়তে�?১০�?বছ�?পরপর এইরক�?ক্ষত�?আমাদের মেনে নিতে�?হবে। অতিমারী ঘন ঘন হয় না�?১০�?বছ�?পর�?একটা অতিমারী এসেছে। আইআইটি-তে ভরতি হয়েও অনেক পড়ুয়া�?ক‌্যাম্পাসই দেখা হল না�?স্কুলে�?নব�?বা দশ�?শ্রেণিতে পড়া যারা মি�?কর�? তারা স্কুলজীবন�?সবচেয়ে উজ্জ্ব�?সময়টাক�?উপভোগ করতে পারল না�?নিচু ক্লাসে সব পড়ুয়া�?স্বপ্ন থাকে নাইন-টেনে�?দাদাদে�?মতো হওয়ার। বহ�?পড়ুয়া�?সেটা�?হওয়া হল না�?অনলাইন�?ক্লা�?কর�?নাইন-টে�?কেটে গে�?বাড়িত�?বসেই�?স্নাতকোত্তর�?ভরতি হয়েও বহ�?পড়ুয়া এখনও পর্যন্�?ইউনিভার্সিটি�?অঙ্গনে পা রাখত�?পারল না�?এস�?ক্ষত�?কোন�?দিনই কোন�?প্রলেপ পড়ব�?না�?ইউনিভার্সিটিতে ক্লা�?করতে না পারা�?আক্ষেপ চিরকাল থাকবে। অতিমারী�?কথ�?চিন্তা করেই সব ক্ষত�?আমাদের স্বীকা�?কর�?নিতে হচ্ছে। কারণ, বেঁচ�?থাকা�?চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তে�?আর কিছু হত�?পারে না�?/p>

[আর�?পড়ুন: ছুঁয়েছিলেন সমুদ্রের রহস্যক�? ��াই���ানিক ডুবব�? জানতেন তিনি?]

মাধ‌্যমিক (Madhyamik) বা উচ্চমাধ‌্যমিক যারা দিতে পারল না, তাদে�?হা�?হা�?কর�?লা�?নেই। মেধাবী পড়ুয়াদে�?ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে পরীক্ষা দিতে না পারা একটি বড�?আফসোস�?মূল‌্যায়ন যে পদ্ধতিতে�?হোক, মেধাবীদে�?কাছে তা কখনও�?কাম‌্�?নয়�?মেধাবী পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিয়ে�?আর�?ভা�?ফলের ��ক্ষ্য�?পৌঁছতে চায়। আবার যারা গড�?মেধা�?পড়ুয়া তারা বেশিরভাগ�?স্বাগত জানাচ্ছে পরীক্ষা বাতিলকে। পরীক্ষা ছাড়�?অন‌্�?কোন�?মূল‌্যায়নের পদ্ধতিতে সাধারণভাবে এর�?উপকৃ�?হয়�?বিকল্প মূল‌্যায়ন�?এর�?তুলনামূলকভাব�?ভা�?ফল করবে�?রাজ‌্�?বোর্ডের স্কুলগুলিত�?নব�?দশমে অন্তর্বর্তী প্রস্তুতিকালী�?মূল‌্যায়ন হয় না�?উঁচু ক্লাসে গিয়ে মূল‌্যায়ন হয় পর্যায়ক্রমে। মাধ‌্যমিকের ক্ষেত্রে নব�?থেকে দশ�?শ্রেণি ওঠার ফলকে মূল‌্যায়নের পদ্ধতি হিসাবে গ্রহ�?কর�?হত�?পারে�?উচ্চমাধ‌্যমিকের ক্ষেত্রে অভ‌্যন্তরী�?মূল‌্যায়নের কোন�?পদ্ধতি বে�?করার কথ�?ভাবা হচ্ছে। আগামী সাতদিনের মধ্য�?রাজ‌্�?সরকা�?তা ঘোষণা করবে বল�?জানিয়েছে�?মূল‌্যায়ন যে পদ্ধতিতে�?হোক, তাতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদে�?ভা�?যে হব�? তা ধরেই নেওয়�?যায়।

তব�?যেহেতু পরীক্ষা হল না, তা�?সরকারে�?সচেষ্ট হওয়া উচিত কাউন্সেলিংয়ে�?ব‌্যাপারে�?যারা মাধ‌্যমিক পা�?কর�?উচ্চমাধ‌্যমিক�?(Higher Secondary) ভরতি হব�? কিংব�?উচ্চমাধ‌্যমিক পা�?কর�?যারা উচ্চশিক্ষা�?যাবে, দু’দ�?পড়ুয়া�?ক্ষেত্রে�?এবার কাউন্সেলিংয়ে�?কথ�?ভাবা যেতে পারে�?এই কাউন্সেলিংয়ে�?মধ‌্�?দিয়ে পড়ুয়াদে�?কা�?কোন বিষয়�?পড়াশোনার প্রবণত�? অর্থাৎ কে কোন বিষয় নিয়ে পড়ল�?উপকৃ�?হব�? সে-ব্যাপারে পরামর্�?দেওয়�?হোক�?যেহেতু পরীক্ষা হচ্ছ�?না তা�?পড়ুয়াদে�?কাছে হাতে গর�?বোঝার সুযোগ নে�?কে কোন বিষয়�?মেধাবী�?কাউন্সেলিংয়ে�?মধ্য দিয়ে বাড়ির কাছে স্থানী�?স্কুলে ভর্তির বিষয়টি�?নিশ্চি�?কর�?যেতে পারে�?অতিমারী পরিস্থিতিত�?পড়ুয়াদে�?স্কুলে স্কুলে ঘোরার অবকাশও নেই। একইভাব�?উচ্চমাধ‌্যমিক উত্তীর্ণদের ক্ষেত্রে�?কাউন্সেলিং জরুরি। মাধ‌্যমিক উত্তীর্�?পড়ুয়াদে�?ক্ষেত্রে যদ�?সঠিক বিষয় নির্বাচন কর�?পছন্দে�?স্কুলে ভরতি সুনিশ্চি�?কর�?যা�? তাহল�?পরীক্ষা না দেওয়ার ক্ষত�?অনেকটা�?পুষিয়ে যাবে�?একইভাব�?উচ্চমাধ‌্যমিক উত্তীর্�?পড়ুয়াদে�?ক্ষেত্রে যদ�?উচ্চশিক্ষা�?ভরতি এইভাবে সুনিশ্চি�?হয়, তাহল�?পরীক্ষা না হওয়া�?ক্ষত ��ূরণ হবে।

তব�?সবার ক্ষেত্রে যে এই পদ্ধতিতে ন‌্যায‌্�?মূল‌্যায়ন হব�? তা নয়�?কিছু ক্ষেত্রে কোন�?কোন�?পড়ুয়া বাড়তি সুবিধা পেয়ে যাবে�?কে�?কে�?নিজে�?মেধা�?সঠিক মূল্যায়নের সুযোগ পাবে না�?এট�?অবশ্�?পর্যায়ক্রমিক মূল‌্যায়নের ক্ষেত্রে সবসময়ই ঘট�?থাকে�?পরীক্ষা�?দি�?শরী�?খারা�?বা পারিবারি�?কোন�?বিপর্যয়ে�?মুখে পড়ে অনেক মেধাবী�?ফল খারা�?হয়�?যায়। ততটা মেধাবী নয়, এম�?অনেক পড়ুয়া উচ্চশিক্ষা�?ভরতি�?ক্ষেত্রে ব‌্যাকডোরে�?সুযোগ পায়। ভা�?কলেজ�?ভা�?বিষয়�?অনার্স পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাকডোরেরও ভূমিকা থাকে�?যে-কোর্স�?ভরতি হওয়া�?মতো তা�?নম্ব�?নে�? প্রভাব খাটিয়ে সে�?কোর্সেই ভরতি হয়�?যা�?অনেক পড়ুয়া�?এই ঘটনা যখ�?স্বাভাবি�?সময়ে পুরোপুর�?এড়ানে�?যা�?না, তখ�?এই অতিমারী�?পরিস্থিতিত�?সেরক�?কিছু ঘটনা যে ঘটবে, তা ধর�?নিতে হবে। মোটের উপ�?কাউন্সেলিং করলে অনেকটা�?ন‌্যায‌্�?বিচা�?পৌঁছ�?দেওয়�?যেতে পারে বেশিসংখ‌্যক পড়ুয়া�?কাছে�?উচ্চমাধ‌্যমিক বস্তুত উচ্চশিক্ষা�?প্রবেশের সোপান�?উচ্চশিক্ষা�?সঠিকভাবে প্রবেশের সুযোগ যদ�?কর�?যা�? তাহল�?উচ্চমাধ‌্যমিক পরীক্ষা না দিতে পারা�?ক্ষত ভবিষ্যতে�?জন্য তেমন গভী�?হব�?না�?/p>

মূল‌্যায়নের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ে�?সচেতনতাও একটা মাপকাঠি। গত দেড় বছ�?ধর�?অনলাইন�?যে লেখাপড়া হচ্ছ�? তাতে পড়ুয়ারা কতটা উপকৃ�?হত�?পারল, সেটা যেমন অনেকটা�?নির্ভরশী�?অভিভাবকে�?সচেতনতার উপর। যেক্ষেত্রে বাবা-মা তাঁদের সন্তানদে�?লেখাপড়া�?বিষয়�?বিশেষভাব�?সচেত�? সেক্ষেত্রে পড়ুয়ারা উপকৃ�?হচ্ছ�?বেশি�?মূল‌্যায়ন�?বহ�?ক্ষেত্রে সঠিক হচ্ছে। এম�?অনেক ঘটনা এই সময়কাল�?শুনেছি যে, অনলাইন�?পরীক্ষা�?ক্ষেত্রে বাড়িত�?পরীক্ষকের ভূমিকা পালন করছে�?মা­-বাবারা�?যেক্ষেত্রে বাবা-মা ততটা সচেত�?নন, সেক্ষেত্রে অনলাইন পরীক্ষা�?পড়ুয়ারা�?অনেক অন‌্যা�?পদ্ধতি অবলম্ব�?করতে পারে�?তব�?অনলাইন শিক্ষা�?অন‌্যা�?পদ্ধতি রোধ করার প্রযুক্তিগ�?সুবিধা রয়েছে। আবার পরীক্ষা�?প্রশ্ন এমনভাব�?কর�?যা�?যে, অনলাইনেও বই খুলে লেখা�?সুযোগ থাকে না�?এবার�?কলকাতা বিশ্ববিদ‌্যালয়ের স্নাতক স্তরের অনলাইন পরীক্ষা�?পর বহ�?পরীক্ষার্থী�?প্রতিক্রিয়ায় শুনেছি, এমনভাব�?প্রশ্ন কর�?হয়েছ�?যে, বাড়িত�?বস�?পরীক্ষা দিলে�?বই খুলে দেখা�?সময়ই পাওয়�?যায়নি।

যা�?হোক, মাধ‌্যমিক বা উচ্চমাধ‌্যমিক অনলাইনেও হচ্ছ�?না�?মূল‌্যায়নের যে-পদ্ধতি বেরব�? সেখানে বাড়িত�?বস�?অনলাইন�?পরীক্ষা�?কোন�?সুযোগ থাকব�?না�?ধর�?নেওয়�?যেতে পারে, মূল‌্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে কারও কোন�?ক্ষোভ থাকব�?না�?কাউন্সেলিংয়ে�?মাধ‌্যম�?যদ�?মূল‌্যায়ন-পরবর্তী পড়ুয়াদে�?ভরতি�?ক্ষেত্রে একটা ন‌্যায‌্�?বা সমতা সুনিশ্চি�?কর�?যা�? তাহল�?পরীক্ষা না হওয়া�?ক্ষত বহুলাংশে মেরামত হয়�?যাবে�?সরকা�?দু’ক্ষেত্রেই কাউন্সেলিংয়ে�?বিষয়টি বিবেচন�?করুক�?করোনা-বিধি মেনে�?এট�?কর�?সম্ভব। অনলাইনেও কাউন্সেলিং হত�?পারে�?পড়ুয়াদে�?সংখ্যাটা একটা সমস্যা�?সেক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকৃতভাব�?কাউন্সেলিংয়ে�?কথ�?ভাবা হোক�?/p>

[আর�?পড়ুন: বেঠি�?সময়ে নিয়ন্ত্রণে�?তাড়না?]