ল্যারি কলিন্স �?ডমিনিক ল্যাপিয়ারে�?লেখা ‘ফ্রিডম অ্য়া�?মিডনাই�?#8217; গ্রন্থ�?দাবি কর�?হয়েছ�? ১৯৪৭ সালে নবাব ওসমানে�?সম্পত্তি�?পরিমাণ ছি�?১৭.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা�?যা সে�?সম�?পৃথিবী�?কোনও ব্যক্তির ছি�?না�?বল�?হয়, তাঁর কাছে ছি�?সোনা�?বাসন�?এত পরিমাণ�?বাসন ছি�?যে, একসঙ্গ�?২০�?লো�?বস�?সে�?বাসন�?খাবা�?খেতে পারতেন�?যদিও তিনি নিজে কিন্তু সোনা�?বা কোনও দামি বাসন�?খাবা�?গ্রহ�?করতে�?না!

নবাবের বিত্তে�?মত�?তাঁর কৃপণতা�?গপ্পোও মি�?হয়�?রয়েছে। বল�?হয়, তিনি নাকি এম�?কৃপণ ছিলে�? কোনও অতিথ�?তাঁর প্রাসাদে এল�?তাঁদের ফেলে যাওয়�?সিগারেটে�?টুকরোতেও নাকি সুখটান দিতে�?তিনি�?পোশা�?আশাক�?মোটে�?নবাবসুলভ ছি�?না�?কুঁচকানো বহ�?ব্যবহৃ�?পোশা�?চড়িয়ে ঘুরে বেড়াতেন তিনি�?অথ�?তাঁর বৈভব ছি�?চো�?ধাঁধানো। রামচন্দ্�?গুহর বিখ্যা�?বই ‘ইন্ডিয়�?আফটা�?গান্ধী’-তে�?এই আশ্চর্�?বৈপরীত্যে�?কথ�?বল�?হয়েছে। নবাবের গ্যারেজে একের পর এক গাড়ির লাইন�?রোলস রয়েস গাড়ির ছড়াছড়ি�?অন্ত�?৫০টি রোলস রয়েসের কথ�?জানা যায়। অথ�?এতগুলি গাড়�?থাকা সত্ত্বেও তিনি নাকি ১৯১৮ সালে�?মডেলের ভাঙাচোরা একটি গাড়�?নিয়ে পথ�?বেরোতেন।

বে�?সন্দেহবাতিকও ছি�?তাঁর�?সব সম�?ভয় পেতে�? এই বুঝি কে�?বি�?খাইয়�?তাঁক�?মেরে ফেলল�?আর সেজন্য একজন লো�?রাখা ছি�? যিনি তাঁর সব খাবা�?চেখে দেখতেন�?এম�?কোনও খাবা�?তাঁক�?পরিবেশনই কর�?হত না, যেটা সে�?ভদ্রলো�?একবা�?চেখে দেখেছেন। এম�?ধনসম্পদে�?প্রাচুর্যে�?উলটো দিকে তাঁর এই কৃপণতা �?সন্দেহবাতি�?স্বভাবের গল্প মিলে তৈরি করেছ�?আশ্চর্�?মিথ।

কিন্তু সন্দেহ নে�?তাঁর ধনসম্পদে�?গল্প�?সবচেয়ে বিখ্যাত। সে�?গল্পেই ফেরা যাক। যা�?মধ্য�?সবচেয়ে বেশি আলোচিত জ্যাকব হিরে�?কোহিনূরে�?চেয়ে�?বড�?এই হিরেকে নিছক�?পেপারওয়ে�?হিসেবে ব্যবহা�?করতে�?তিনি�?যা�?দা�?�?হাজা�?কোটি টাকা�?আসলে এই হিরেটাকে দু’চক্ষ�?সহ্য করতে পারতেন না ওসমানে�?বাবা মেহবুব আল�?খা�? হায়দরাবাদে�?ষষ্ঠ নিজাম। তিনি ওটাক�?বলতে�?‘মনহু�?হিরা’�?অর্থাৎ অপয়া হিরে�?তা�?নিজে�?চটিত�?ব্যবহা�?করতেন। পর�?সেটা�?খুলিয়ে পেপারওয়ে�?হিসেবে ব্যবহা�?কর�?শুরু করেন ওসমান।

ভাবা যা�? প্রা�?১৮�?ক্যারে�?অথবা ৪০ গ্রামে�?ওই হিরে�?বিশ্বে�?পঞ্চ�?বৃহত্ত�?পালি�?কর�?হিরে�?যদিও সেটা নাকি বে�?সস্তাতেই কিনেছিলে�?ওসমানে�?বাবা�?তেমন ক্রেতা না মেলা�?২৫ লক্ষ টাকাতে�?সেটি বিক্রি কর�?দিয়েছিলে�?হিরেটি�?আগের মালি�?আলেকজান্ডা�?ম্যালক�?জ্যাকব�?এরপর তিনি কার্যত�?কপর্দকশূন্�?হয়�?পড়েন। ১৯২১ সালে মারা�?যা�?একেবার�?হতদরিদ্র অবস্থায়। অনেক পর�? ১৯৯৫ সালে নিজামে�?ট্রাস্�?থেকে হিরেটি কিনে নে�?কেন্দ্রী�?সরকার। এই মুহূর্তে দুর্মূল্�?হিরেটি রয়েছ�?ভারতী�?রিজার্�?ব্যাংকের এক ভল্ট�? মুম্বইয়ে�?/p>

যা�?হো�? নিজামে�?কথায় ফেরা যাক। তাঁর বিরুদ্ধে কৃপণতা�?যত�?অভিযোগ থা�? তিনি কিন্তু দানধ্যান করতেন। বহ�?হিন্দু মন্দির নির্মাণে টাকা দিয়েছিলে�?তিনি�?তিরুপত�?মন্দির থেকে সীতারামবাগ মন্দির- বহ�?মন্দিরেই বে�?মোটা টাকা অনুদান দিতে�?নবাব�?ছয়ের দশকে ভারত-চি�?যুদ্ধে�?সম�?দেশে�?পাশে দাঁড়িয়েছিলে�?তিনি�?সে�?সম�?অর্থনৈতি�?ভাবে ভেঙে পড়া দেশক�?বাঁচাত�?বিত্তবানদে�?এগিয়�?আসার আহ্বান জানিয়েছিলে�?তৎকালী�?প্রধানমন্ত্রী লা�?বাহাদু�?শাস্ত্রী�?সে�?আবেদনে সাড়�?দিয়ে �?হাজা�?কেজি সোনা দা�?করেন নবাব�?কিন্তু কৃপণতা�?স্বভাব অবশ্�?তখনও ছিল। তিনি জানিয়ে দিয়েছিলে�? তিনি সোনা দা�?করলে�?যে সিন্দুকে সেগুলি পাঠানো হচ্ছ�? সে��ুলি দা�?করছে�?না�?সেগুলি যে�?ফেরত পাঠানো হয়!

১৯৬৭ সালে ৮০ বছ�?বয়সে মৃত্যু হয় ওসমানের। কিন্তু থেকে গিয়েছে তাঁক�?ঘিরে তৈরি হওয়া মিথগুলি। মহরম জা�?বাহাদুরে�?মৃত্যু সে�?ইতিহাস নতুন কর�?মন�?করিয়�?দিল। সারা পৃথিবী�?বিত্তবানদে�?নিয়ে কাহিনি কম নেই। সে�?সব কাহিনি�?মধ্য�?নবাব ওসমানে�?ঐশ্বর্যে�?ঝলকানিকে ভোলা কার্যত�?অসম্ভব�?/p>