প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপরাধীর দোষ প্রমাণ করতে নির্যাতিত শিশুর সাক্ষ্যই যথেষ্ট। তবে সেই সাক্ষ্য অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য হতে হবে। একটি ধর্ষণের মামলার শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। ২০১৭ সালে ১০ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় এক ব্যক্তিকে। নিম্ন আদালত তাঁকে ১২ বছর হাজতবাসের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই দিল্লি হাই কোর্টে যান তিনি। বিচারপতি মনোজ ওহরির বেঞ্চে সেই ধর্ষণ মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে নিম্ন আদালতের রায়কেই বহাল রেখেছে।
মামলা প্রসঙ্গে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘যদি ভুক্তভোগী ঘটনার একমাত্র সাক্ষীও হয়, তবুও তাঁর সাক্ষ্যই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করতে যথেষ্ট। ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য হলেই দোষীর সাজা বহাল রাখা যেতে পারে।’’ এ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী যদি শিশু হয়, তবে তার সাক্ষ্য জোরদার হয় বলেই মনে করেন বিচারপতি মনোজ ওহরি।
পুলিশের এফআইআর সূত্রে জানা যাচ্ছে, নির্যাতিতার স্কুলের কাছে একটি কাঠের কারখানায় চাকরি করতেন অভিযুক্ত। নাবালিকাকে চাউমিন ও কচুরির লোভ দেখিয়ে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। স্থানীয় একটি দোকানের ভিতরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। স্কুল ছাত্রীকে নৃশংস ভাবে খুন করার হুমকিও দেয় ওই আসামি। শুনানিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, নির্যাতিতা নাবালিকা প্রথম থেকেই তার বয়ানে অবিচল ছিল। তাই তার বয়ান যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.