ধীমান রায়, কাটোয়া: তালাবন্ধ হাসপাতালের স্টোর রুমে মিলল অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির দেহ। আজ বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কাটোয়া থানার পুলিশ আধিকারিকরা। আসেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিকও। তবে দেহটি উদ্ধার করতে কেটে যায় দু’ঘণ্টা সময়। ওই পরিত্যক্ত ঘর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় খোঁজ মিলছিল না চাবির।
আর সেই চাবির সন্ধান করতেই কেটে যায় দীর্ঘ এই সময়। প্রায় দু’ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর পুলিশের নজরে আসে পৃথক একটি দরজাও রয়েছে। যেটি খোলা। সেই দরজা দিয়ে ঢুকে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। তবে দেহটি কীভাবে ওই বন্ধ ঘরে গেল তা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে মৃতের পরিচয় জানারও চেষ্টা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন,” ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।”
ওই হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের পিছনে খুব একটা কেউ যায় না। ঝোপজঙ্গল হয়ে রয়েছে। এদিন সকালে স্থানীয় এক মহিলা সেখানে জ্বালানির জন্য কাঠ সংগ্রহ করতে যান। সেই সময় ঘরটির জানলা দিয়ে ভিতরে নজর দিতেই একেবারে চমকে ওঠেন ওই মহিলা। দেখেন, ঘরের ভিতরে একটি দেহ পড়ে রয়েছে। যা দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি হাসপাতালের কর্মীদের জানান। এমনকী হাসপাতালে থাকা পুলিশ ক্যাম্পেও খবর যায়। হাসপাতালের বন্ধ ঘরে দেহ! জানতে পেরেই ছুটে আসেন পুলিশ আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে ঘর থেকে এদিন এই দেহ উদ্ধার হয় সেটি মূলত স্টোররুম হিসাবে ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন তালাবন্ধ অবস্থায় ছিল। ফলে তালায় মরচে পড়ে যায়। এমনকী খোঁজ মিলছিল না চাবিরও। যদিও যে নার্সের কাছে চাবি থাকার কথা খবর দেওয়া হয় তাঁকেও। আর এই গোটা প্রক্রিয়ায় কেটে যায় দীর্ঘ দু’ঘণ্টা সময়। শেষমেশ ঘরের পাশের একটি খোলা দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকে দেহটি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা।
কিন্তু কীভাবে ওই ব্যক্তি পুরুষ ওয়ার্ডের সামনে দিয়ে ভিতরে গেলেন? কারও নজরে পড়ল না কেন? এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, ১০ থেকে ১২ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.