Advertisement
Advertisement

মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্ত করে পদার্থবিদ্যায় নোবেল তিন বিজ্ঞানীর

সঠিক প্রমাণিত হল আইনস্টাইনের তত্ত্ব।

Rainer Weiss, Kip Thorne, Barry Barish awarded Nobel Prize in Physics
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 4, 2017 9:21 am
  • Updated:September 27, 2019 3:48 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভুল ছিলেন আইনস্টাইন। অব্যর্থ ছিল তাঁর গণনা। মহাকর্ষ তরঙ্গের যে ধারণার কথা বলেছিলেন তিনি, তাইই শনাক্ত করে এবছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক রাইনার ওয়েইস এবং ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির দুই অধ্যাপক ব্যারি ব্যারিস ও কিপ থর্ন পাচ্ছেন এই পুরস্কার।

Advertisement

মহাকর্ষ সম্পর্কে যে ধারণা দিয়ে গিয়েছিলেন বিজ্ঞানী নিউটন, তা আমূল বদলে দেন আইনস্টাইন। মহাকর্ষ স্রেফ আর ব্রহ্মান্ডে দুই বস্তুর মধ্যে টান হয়ে থাকে না। স্পেস-টাইমের ধারণা গড়ে ওঠে। এবং আইনস্টাইন জানিয়েছিলেন, এই স্পেস টাইমেও টেউ উঠতে পারে, তা ডায়নামিক। যদি তার চারপাশ দিয়ে কোনও ভারী বস্তু যায়, ধরা যাক কোনও মৃত তারার অংশ, তবে অবধারিতভাবে ঢেউ উঠবে সেখানে। সংকোচন-প্রসারণ হবে। অর্থাৎ, অনেকটা থকথকে কোনও পদার্থে যেরকম ঢেউ ওঠে বা তরঙ্গ বিস্তার হয় সেরকমটাই। স্পেস-টাইমে এই যে ঢেউ তাই হল গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ বা মহাকর্ষ তরঙ্গ। অতি সূক্ষ্ম এই তরঙ্গই শনাক্ত করেছেন তিন বিজ্ঞানী।

এবছর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পাচ্ছেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী ]

লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ অবজারভেটরি বা লাইগো নামক যন্ত্রের সাহায্যে এই তরঙ্গ শনাক্ত করা হয়েছে। যার স্থপতি এই তিন বিজ্ঞানী। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁরা এই শনাক্তকরণের কথা জানান। কোটি কোটি বছর আগে দুই দুটি ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষের দরুণ যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছিল তা এসে পৌঁছায় পৃথিবীতে। তিন বিজ্ঞানী সেই ক্ষীণ তরঙ্গ ধরতে সক্ষম হন। এই কৃতিত্বের জন্যই তাঁদের এবছর স্বীকৃতি দিল নোবেল কমিটি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ