সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানব সভ্যতার লজ্জা বললেও অত্যুক্তি হয় না। জঞ্জালের পর্বতে পরিণত হয়েছে মাউন্ট এভারেস্ট। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে অভিযান এখন পিকনিকের পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আর তাতেই কাল হচ্ছে প্রকৃতির এই আশীর্বাদের। দিন দিন আস্তাকুঁড়েতে পরিণত হচ্ছে এভারেস্ট। সেইসঙ্গে অভিযাত্রীদের ট্রাফিক জ্যামে বাড়ছে পাহাড়চূড়ায় মৃত্যুর ঘটনা। জঞ্জালমুক্ত করতে গিয়ে কালঘাম ছুটেছে নেপাল প্রশাসনের। নেপালি শেরপাদের একটি টিম পাহাড়চূড়া থেকে এপ্রিল ও মে, দুমাসে প্রায় রেকর্ড ১১ হাজার কেজি আবর্জনা উদ্ধার করেছে। সেইসঙ্গে মিলেছে আরও চারটি মৃতদেহ। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে নেপাল সরকার। শৃঙ্গ ও বেস ক্যাম্প থেকে এই ১১ টন জঞ্জাল উদ্ধার মানুষের কুকীর্তিকেই ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। আর অভিযানের নেশায় যেভাবে কাতারে কাতারে পর্বতারোহীরা ভিড় জমাচ্ছেন, তাতেই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
[আরও পড়ুন: এভারেস্টের চূড়ায় হুড়োহুড়ি, সেলফি তোলার ধুম! ঘটছে বিপর্যয়]
গত এপ্রিল মাসে এভারেস্ট থেকে পাঁচ টন আবর্জনা উদ্ধার করে। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের একাধিক জায়গায় মানুষের কুকীর্তি দৃশ্যমান। মানুষের বর্জ্য, ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার, খাবারের প্যাকেট, পানীয়ের বোতল, ক্যান, প্লাস্টিক-সহ প্রচুর পরিমাণ আবর্জনা বছরের পর বছর ধরে কলুষিত করছে প্রকৃতির এই অপরূপ সৃষ্টিকে। একইসঙ্গে বাড়ছে অভিযাত্রীদের মৃত্যুর সংখ্যাও। নেপাল সরকার জানিয়েছে, বুধবার আরও চারটি দেহ পাওয়া গিয়েছে। গ্রীষ্মে বরফ গলতেই দেহগুলির হদিশ মিলছে। নেপালের পর্যটন দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল ডান্ডু রাজ ঘিমিরে জানিয়েছেন, সাউথ কলে আরও আবর্জনা উদ্ধার করে প্লাস্টিকের ব্যাগে করে নিচে নামানোর চেষ্টা চলছে। তবে খারাপ আবহাওয়ার জন্য কাজ ব্যাহত হয়েছে।
ঘিমিরে আরও জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের পর থেকে এত সংখ্যক অভিযাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা আগে ঘটেনি। যা রীতিমতো উদ্বেগের। দ্রুত সামিট করার নেশায় খারাপ আবহাওয়াকেও তোয়াক্কা করছেন না অভিযাত্রীরা, বলছেন ঘিমিরে। যে কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি আবর্জনার বহর দেখে পরিবেশবিদরাও চিন্তিত এভারেস্ট অভিযানের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
[আরও পড়ুন: ‘চোখের সামনে দুজনের মৃত্যু দেখলাম’, বিভীষিকার সাক্ষী এভারেস্ট জয়ী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.