সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনার পর ভুল দেহ পেয়েছেন মৃতদের পরিবার! এমনই অভিযোগ এনেছেন ব্রিটেনের দুই পরিবার। তাঁদের আইনজীবীর মতে, দুর্ঘটনার পর যে দেহ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সেগুলোর ডিএনএ আবার পরীক্ষা করানো হয়। তখনই দুই পরিবার জানতে পারে, ভুল দেহ পাঠানো হয়েছে তাঁদের।
আহমেদাবাদের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর সেখানকার সরকারি হাসপাতালে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে দেহ শনাক্ত করা হয়েছিল। তারপর কফিনবন্দি দেহ তুলে দেওয়া হয় মৃতদের পরিবারের হাতে। সবমিলিয়ে ব্রিটেনের ৫৩ জন নাগরিকের মৃত্যু হয় আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায়। দুর্ঘটনায় মৃত অধিকাংশ ব্রিটিশ নাগরিকের শেষকৃত্য হয়ে গিয়েছে ভারতেই। তবে ১২ জনের দেহ পাঠানো হয়েছিল ব্রিটেনে। কিন্তু তার মধ্যে দু’জনের দেহ ফের ডিএনএ পরীক্ষা করতেই দেখা যায়, ভুল দেহ পাঠানো হয়েছে।
দুই পরিবারের আইনজীবী জানান, তাঁদের আত্মীয়দের দেহ ভুলভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। ভুল দেহ পাঠানো হয়েছে ব্রিটেনে। একজনের দেহাবশেষ একেবারেই ভুল ছিল। অপরজনের দেহাবশেষের সঙ্গে মিশে ছিল অন্য কারোর দেহ। লন্ডনে ডিএনএ শনাক্ত করে ওই দুই দেহাবশেষ আলাদা করা হয়। শেষ পর্যন্ত একজনের শেষকৃত্যও বাতিল করতে হয়। কারণ নিজেদের আত্মীয়ের দেহাবশেষ পরিবারের হাতে এসে পৌঁছয়নি। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অপরজনের দেহাবশেষ আলাদা করা হয়।
গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তাঁর কথায়, “যথেষ্ট পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেহগুলি শনাক্ত করা হয়েছে। মৃতদের প্রতি যথেষ্ট সম্মান দেখানো হয়েছে। তবে এই অভিযোগ নিয়ে ব্রিটিশ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।” যদিও এমন মর্মান্তিক ঘটনায় দেহাবশেষ মিশে যাওয়া খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় একাধিক দেহ পুরোপুরিভাবে উদ্ধার করাও সম্ভব হয়নি। তবে ভুল মৃতদেহ পাঠানোর ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার কোনও যোগ নেই, কারণ হাসপাতালের তরফেও গোটা বিষয়টি লক্ষ্য রাখা হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.