সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেন-জি বিদ্রোহের আগুন নিভলেও এবার প্রকৃতির তাণ্ডবে বেসামাল নেপাল। নাগাতার ভারী বৃষ্টির জেরে ভূমিধস ও হড়পা বানে নেপালে এখনও পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত কয়েকদিনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে আহত হয়েছেন ১৩ জন। নিখোঁজ আরও ১১। সবমিলিয়ে হিমালয়ের ছোট্ট এই দেশের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় বলে জানা যাচ্ছে।
নেপালের সশস্ত্র পুলিশ বল (এপিএফ)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত সীমান্তবর্তী পূর্ব ইলম জেলায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। এর পাশাপাশি বন্যায় ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন ৯ জন। এছাড়া দেশের নানা প্রান্তে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে নেপালজুড়ে। যার জেরে বহু জায়গায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। নেমেছে হড়পা বান। বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তাঘাট। প্রায় সব নদীই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। দুর্গতদের উদ্ধারকাজে নেমেছে প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রাজধানী কাঠমাণ্ডুর উপর দিয়ে বয়ে চলা নদীর অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। নদীতীরবর্তী অঞ্চল থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের।
প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে উদয়পুরে ২ জন, রাউতাহাটে ৩ জন, রাসুওয়ায় ৪ জন এবং কাঠমান্ডুতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। খোটাং, ভোজপুর, রাউতাহাট এবং মাকওয়ানপুর জেলায় বজ্রপাতের জেরে ৮ জন আহত হয়েছেন। এদিকে, পঞ্চথর জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৬জন নিহত এবং ৬জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত থেকে চলমান বৃষ্টি এখন পূর্ব নেপালে দাপট দেখাচ্ছে। টানা বৃষ্টিপাতের জেরে সেখানে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের পর সপ্তকোশি নদীর জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারত সীমান্তবর্তী কোশী বাঁধের ৫৬টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃষ্টিপাতের জেরে বেহাল অবস্থা উত্তরবঙ্গের। দার্জিলিংয়ের মিরিকে নেমেছে ভূমিধস। এই দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। ভূমিধসের কারণে অবরুদ্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়িগামী রাস্তা বন্ধ। দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। সোমবার সকাল পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে, জানিয়েছে মৌসম ভবন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.