সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও খারাপ হচ্ছে আফগানিস্তানের (Afghanistan) পরিস্থিতি। আফগান সরকারের হাত থেকে একের পর এক এলাকা দখল করে নিচ্ছে তালিবান জঙ্গিগোষ্ঠী। এবার সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হাতে চলে এল আফগানিস্তানের কান্দাহার (Kandahar) এবং হেরাট (Herat) শহরও। যা কিনা রাজধানী কাবুলের (Kabul) পর সেদেশের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বৃহত্তম শহর। ফলে ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর মধ্যে ১২টিতেই এখন নিয়ন্ত্রণ তালিবানের। আর এই পরিস্থিতিতে সেদেশে থাকা সমস্ত ভারতীয় বিশেষ করে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে নয়াদিল্লি। যাতায়াত এবং অন্যান্য ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। এদিকে, মার্কিন নাগরিকদেরও সরিয়ে আনতে তৎপর হয়েছে পেন্টাগন। কাবুলে নতুন করে নামানো হচ্ছে সেনাও।
সংবাদসংস্থা এএফপি, রয়টার্স-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরতেই শুরু হয় তালিবান জঙ্গিগোষ্ঠীর বাড়বাড়ন্ত। একের পর এক প্রদেশ দখলে নিতে থাকে তারা। লড়াইয়ে নেমেও তালিবানদের কাছে পরাস্ত হতে থাকে আফগান সেনা। পরপর প্রদেশ দখল করতে শুরু করে তালিবানরা। আল জাজিরার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইতিমধ্যে গজনি দখল করে নিয়েছে তালিবান। ফলে দক্ষিণের প্রদেশগুলির সঙ্গে রাজধানী কাবুলকে যুক্ত করে, সেরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়েও দখলে চলে গিয়েছে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর। আর এর ফলে কার্যত নতিস্বীকারও করে নিয়েছে আফগান প্রশাসন।
ইতিমধ্যে তালিবানকে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। এএফপিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে আফগান সরকারের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, “হ্যাঁ, কাতারকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চেয়ে সরকার একটি প্রস্তাব রেখেছে। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে দেশে হিংসা থামিয়ে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নিক তালিবান।” উল্লেখ্য, যে গতিতে তালিবানিরা এগোচ্ছে, তাতে আগামী তিন মাসের মধ্যেই কাবুলের দখল নিতে পারে তারা। এমনটাই আশঙ্কা করা হয়েছে পেন্টাগনের এক রিপোর্টে। পরিস্থিতি দেখে আফগান সরকার তাই সমঝোতার পথেই হাঁটতে চাইছে।
দু’দশক আফগানিস্তানে ছিল মার্কিন সেনা। কিন্তু এবছর মে মাস থেকে শুরু হয় সেনা প্রত্যাহার। আগস্টের মধ্যেই সব সেনা সরিয়ে নেবে আমেরিকা। এই মুহূর্তের অপেক্ষাতেই যেন ছিল তালিবানরা। মার্কিন সেনা সরতে শুরু করার পরই নতুন করে আফগান-ভূমের দখল নিতে শুরু করে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। পালটা লড়াই চালাতে থাকে আফগান সেনা। মার্কিন সেনাও বাইরে থেকে সাহায্য করতে শুরু করে। সংঘর্ষে বহু তালিবান জঙ্গির মৃত্যু হলেও পিছপা হয়নি জঙ্গিগোষ্ঠীটি। অভিযোগ ওঠে, তালিবানের পাশে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তান সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
کندهار د بشپړې فتحې په حال کې.
مجاهدين د شهيدانو چوک ته را ورسيدل. الحمدلله والمنة— Zabihullah (..ذبـــــیح الله م ) (@Zabehulah_M33)
:
د هرات ولایت امنیه قومندانۍ فتحه شوه.
دښمن د تلفاتو په لیدلو سره وتښتید او قومنداني په بشپړ توګه د مجاهدینو په کنترول کې شوه.
لسګونه، نظامي وسائط، وسلې او مهمات د مجاهدینو لاس ته ورغلل.
جګره روانه ده، مجاهدین د ولایت او استخباراتو په لور د پرمختګ په حال کې دي.
احمدی— Zabihullah (..ذبـــــیح الله م ) (@Zabehulah_M33)
The Taliban may control 13 or more provincial capitals by the end of the day. Add and Qala-e-Naw to the list. Nearly half of all prov capitals in Afghanistan (34). At this point it would be hard to see a way does not eventually fall. Great map
— Rita Katz (@Rita_Katz)
Security Advisory for Indian Nationals in Afghanistan
— India in Afghanistan (@IndianEmbKabul)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.