সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামলা এবং পালটা হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। তবে আপাতত আফগানিস্তানের তরফে সংঘর্ষ থামানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। এই পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদের উপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করল কাবুল। সূত্রের খবর, পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এবং সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ভিসা আবেদন খারিজ করেছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। একইসঙ্গে পাক সরকারের আরও দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরও ভিসা আবেদন খারিজ করা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, আফগানিস্তানে আসতে চেয়ে গত তিন দিনে একাধিকবার তাঁরা ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বারবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কাবুল।
শনিবার রাতে পাকিস্তান সীমান্তে প্রত্যাঘাত করে তালিবান নিয়ন্ত্রিত আফগান সেনা। ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১৫ জন পাক জওয়ানের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও তালিবান দাবি করছে সেই সংখ্যাটা আসলে ৫৮। শুধু তাই নয়, ডুরান্ড লাইন বরাবর কুনার এবং হেলমান্দ প্রদেশ-সহ বেশ কিছু জায়গায় থাকা পাক সেনার আউটপোস্টও দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আফগান সেনা একটি বিবৃতিতে জানায়, শুক্রবার কাবুলে পাক সেনা যে বিমান হামলা চালিয়েছিল, তার প্রতিশোধ নিতেই পালটা পাকিস্তানের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান দাবি করেছে, তাঁদের পালটা জবাবে অন্তত ২০০জন তালিবান সেনা নিহত হয়েছেন। তবে শনিবারের পর নতুন করে আর সংঘাতে জড়ায়নি দুই দেশ। আফগানিস্তানের তরফে সংঘর্ষবিরতির কথা বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদের উপর এবার কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করল কাবুল।
উল্লেখ্য, শনিবার আফগানিস্তানের হামলায় পাক সেনার ‘বিপর্যয়ে’র পরেই মুখ খুলেছে ইসলামাবাদের ‘বন্ধু’ সৌদি আরব। তারা দুই দেশকেই সংঘাতে না গিয়ে সংযম দেখানোর বার্তা দিয়েছে। জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা জরুরি। সদ্য স্বাক্ষরিত প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুযায়ী, পাকিস্তানের উপর হামলা হলে তার পালটা দেবে সৌদিও। তাদের বার্তা শুনে আপাতত পাকিস্তানে আক্রমণ স্থগিত রয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবান। তবে আফগানিস্তানে হামলার কথা স্বীকার করেনি পাকিস্তান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.