Advertisement
Advertisement
Nepal

সরকার পতনের ১৮ দিন পর ফের নেপালে প্রকাশ্যে ওলি, ‘জেন-জি’র মন জয়ের চেষ্টা!

নেপালের রাজনীতিতে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে তোলার চেষ্টা ওলির।

After weeks of silence, former Nepal PM Oli makes first public appearance since Gen-Z uprising
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 27, 2025 6:06 pm
  • Updated:September 27, 2025 6:06 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকার পতনের ১৮ দিন পর ফের নেপালে প্রকাশ্যে সমাবেশ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির। শনিবার ভক্তপুরে তাঁর দল সিপিএন (ইউএমএল)-এর ছাত্র ও যুব সংগঠনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। চরম জনরোষ, রক্তক্ষরণের পর ওলির এই সমাবেশ রাজনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। অনুমান করা হচ্ছে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নতুন করে ফের দেশের তরুণ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা এই সমাবেশ।

Advertisement

৮ সেপ্টেম্বর নেপালে জেন-জি আন্দোলন চরম আকার নেওয়ার পর ৯ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেছিলেন ওলি। নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। এতগুলি দিন কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি ওলির। সূত্রের খবর, এতদিন ধরে নেপাল সেনার নিরাপত্তায় ছিলেন তিনি। পরে তাকে অস্থায়ী বাসভবনে স্থানন্তর করা হয়। তাঁর দলের নেতা প্রদীপ গিয়াওয়ালি জানান, ওলি শীঘ্রই সচিবালয়ের সভায় যোগ দেবেন। এই জনসভা তারই একটি অংশ। রাজনৈতিক মহলের দাবি, নেপালের ক্ষমতার রাশ ফের নিজের দখলে আনতে চান ওলি। সেই লক্ষ্যেই দেশের যুব সমাজের মন বুঝতে ওলির এই প্রকাশ্য সমাবেশ।

এদিকে জেন জি বিক্ষোভের জেরে ইতিমধ্যেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে নেপালের সংসদ। ২০২৬ সালের মার্চ মাসে দেশে অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন। বিক্ষোভের আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি দেশে। রাস্তায় বিক্ষোভের পাশাপাশি দাবি তোলা হচ্ছে রাজনৈতিক সংস্কারের। এহেন পরিস্থিতিতে ওলির সামনে আসা শুধু দলকে ঐক্যবদ্ধ করা নয়, তাঁর লক্ষ্য নেপালের রাজনীতিতে নিজেকে আজও প্রাসঙ্গিক হিসেবে তুলে ধরা।

উল্লেখ্য, ৮ সেপ্টেম্বর নেপালের সংসদের সামনে যুবসমাজের বিক্ষোভ চরম আকার নেয়। সোশাল মিডিয়া বন্ধের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল এই আন্দোলন, দাবি ওঠে দুর্নীতিতে ভরা এই সরকারের অবসানের। বিক্ষোভ সামাল দিতে নিরাপত্তা বাহিনী জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছোড়ে। যার জেরে মৃত্যু হয় ২১ জনের। তার পরদিন আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৫ জনের। এখনও পর্যন্ত এই বিক্ষোভে মোট ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ