সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালে (Nepal) দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে (Plane Crash) কর্মী ও যাত্রী মিলিয়ে ছিলেন ৭২ জন। শেষ পর্যন্ত সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মাঝে খবর ছিল, জীবিত অবস্থায় দুই যাত্রীকে উদ্ধার করা গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। কিন্তু সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ইয়াতি এয়ারলাইন্সের উড়ানের সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। এদিকে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজন যাত্রী জীবিত ছিলেন। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তাঁদের উদ্ধার না করে ভিডিও করতে ব্যস্ত ছিলেন। পরে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল পৌঁছায়।
বিকাশ বুস্যাল বিমান দুর্ঘটনা চোখের সামনে দেখেছেন বলে দাবি করেন। তিনি জানান, বিমানটি আচমকা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এর কয়েক সেকেন্ডে পরেই পাহাড়ে আছড়ে পড়ে। বিকট শব্দ হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি। বিকাশ দাবি করেন, তিনি এবং আরও কয়েকজন যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছান, তখনও ১০-১২ জন বেঁচে ছিলেন। এক তরুণীর দেহ জ্বলছিল। তাঁকে দূরে সরিয়ে আনেন। বিকাশের মতোই দীপক শাহি, মহম্মদ খান বিকট শব্দে ঘর থেকে ছুটে বের হন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন একাধিক আগুনে ঝলসানো মৃতদেহ।
অরুণ তামু নামে এক ব্যক্তি, যার বাড়ি ঘটনাস্থলের সবচেয়ে কাছে বলে দাবি। তিনি বলেন, “আমি যখন বিমানের ধংসস্তূপের কাছে পৌঁছাই তখনও বেশ কয়েক জনের শ্বাসপ্রশ্বাস চলছিল। কিছু পরে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল ঘঠনাস্থলে আসে এবং উদ্ধারকাজ শুরু করে।” তামু দাবি করেছেন, তাঁরা বালতি করে জল এনে বিমানের আগুন নেভানোরও চেষ্টা করেছিলেন। আর এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “বিমানটি বিমানবন্দরের কাছাকাছি বস্তিতে ভেঙে পড়তে পারত। কিন্তু পাইলট বিমানের মুখ ঘুরিয়ে দেন পাহাড়ের দিকে। না হলে বহু মানুষের মৃত্যু হত।”
উল্লেখ্য, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানে ছিলেন কমপক্ষে ১৫ জন বিদেশি যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন ভারতীয়। সকলেই উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। এছাড়াও রুশ, কোরিয়ান, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স এবং আয়ারল্যান্ডের যাত্রী ছিলেন। উড়ানে পাইলট-সহ মোট চারজন কর্মী ছিলেন। শেষ খবর অনুয়ায়ী কেউ বেঁচে নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.