সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিবাসী ইস্যুতে অগ্নিগর্ভ আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলস। বিক্ষোভ দমনে এবার শহরের রাস্তায় আরও নিরাপত্তাকর্মীকে নামাল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল স্কট শেরম্যান জানিয়েছেন, উত্তপ্ত লস অ্যাঞ্জেলসে ন্যাশনাল গার্ডের ৪ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী এবং ৭০০ মেরিনস মোতায়েন করা হয়েছে। এর ফলে নিরাপত্তা কর্মীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৭০০। ইরাক এবং সিরিয়ায় এই মুহূর্তে যে পরিমাণ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে এই সংখ্যাটি তার থেকেও বেশি। প্রসঙ্গত, পেন্টাগনের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে সিরিয়ায় প্রায় ২ হাজার এবং ইরাকে ২ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। বিদ্রোহ দমাতে শহরের রাস্তায় যে হারে নিরাপত্তা কর্মী নামাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন তাতে মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে সংখ্যাটি ৫ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় ঘিরে শুক্রবার থেকেই উত্তেজনা শুরু হয় লস অ্যাঞ্জেলসে। রবিবার কয়েক হাজার আন্দোলনকারী পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। প্রতিবাদীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘যদি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসকাম এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস তাঁদের কাজ করতে না পারেন, যা সবাই জানে যে তাঁরা পারবেন না, তাহলে ফেডারেল সরকার হস্তক্ষেপ করবে এবং সমস্যাটির সমাধান করবে। দাঙ্গাকারী এবং লুটেরাদের ক্ষেত্রে যেভাবে সমাধান করা উচিত।’
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পরে বিক্ষোভের আগুন আরও বেড়েছে। তাই ন্যাশনাল গার্ডের সঙ্গে মেরিনস বাহিনীও নামানো হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলসে। উল্লেখ্য, মার্কিন নৌবাহিনী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই মেরিনস। সেই বাহিনী নামানোকে সেনা মোতায়েনে সমকক্ষ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, আমেরিকায় অনুপ্রবেশ রুখতে মরিয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিমধ্যে কড়া আইন এনেছেন। মার্কিনিদের স্বার্থে অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরাচ্ছে তারা। ইতিমধ্যে ১১ এপ্রিল থেকে সে দেশে কার্যকর হয়েছে ‘দ্য এলিয়েন রেজিস্ট্রেশন রিকোয়ারমেন্ট’। এবার অভিবাসীদের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত নিরাপত্তা বাহিনীর। যা কড়া হাতে দমনের পরিকল্পনা করছে হোয়াইট হাউস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.