Advertisement
Advertisement
করোনা ভাইরাস

গবেষণার কাজে চিনে গিয়ে বিপদ, ইউহান-হুবেইতে হোটেলবন্দি ৬ বাঙালি গবেষক

সংক্রমণের আশঙ্কায় তাঁদের হোটেলের বাইরে বেরতে দেওয়া হচ্ছে না।

Atleast 6 reseachers from Bengal get trapped into China
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 26, 2020 4:17 pm
  • Updated:January 26, 2020 4:17 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউহান থেকে র সংক্রমণ ছড়িয়েছে চিনের অন্যান্য প্রদেশেও। হু হু করে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বাড়ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে চিনের হুবেই এবং ইউহান প্রদেশে গবেষণায় গিয়ে আটকে পড়লেন ৬ জন বাঙালি গবেষক। সংক্রমণের আশঙ্কায় হোটেলবন্দি হয়ে পড়েছেন তাঁরা। করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে এই মূহূর্তে দেশে ফেরার জন্য মরিয়া গবেষকদল। চিনের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে প্রতিনিয়ত তাঁরা যোগাযোগ রেখেছেন দেশের ফেরার কোনও উপায় যদি খুঁজে পাওয়া যায়। বেসরকারি সূত্রের হিসেব, ইউহান, হুবেই প্রদেশে আটকে অন্তত হাজার খানেক ভারতীয় পড়ুয়া, গবেষক।

Advertisement

গত নভেম্বর মাসে বীরভূমের সিউড়ির গবেষক রসায়ন নিয়ে গবেষণা করতে কাজি আরিফ ইসলাম এবং আরও কয়েকজন বাংলা থেকে চিনে গিয়েছিলেন। সেসময় করোনা ভাইরাসের ছায়ামাত্র ছিল না। ফলে বাড়তি সতর্কতাও ছিল না। প্রাথমিকভাবে বেজিংয়ে তাঁদের কাজ থাকলেও, পরে হুবেইতে চলে যান। আর তারপরই বিপদে পড়েন।

[আরও পড়ুন: প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ব্রাজিল, মৃত কমপক্ষে ৩০]

বছরের শুরু থেকেই করোনার সংক্রমণে কম্পমান চিন। ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৫। আক্রান্ত প্রায় দু’হাজার। দেশ জুড়ে এমন বিপর্যয়ের পরিস্থিতি মোকাবিলায় রীতিমত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে চিন প্রশাসন। নতুন করে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে শুধুমাত্র করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য। সম্প্রতি জিনপিং সরকার উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে জানিয়েছে যে কোনওরকম উপসর্গ বোঝার আগে দেখা যাচ্ছে যে কারও শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ জীবাণু। ফলে চিন্তা বেড়েছে চিকিৎসকদেরও।

এমন সংকটজনক পরিস্থিতিতে গবেষণার কাজে যাওয়া বাঙালি গবেষকরা চরম উদ্বগে। সিউড়ির কাজি আরিফ ইসলাম আপাতত হুবেইয়ের একটি হোটেলে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গীরা আটকে অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের একেবারে আঁতুরঘরে। সাধারণ সংস্পর্শেই যেহেতু ছড়িয়ে পড়ছে করোনার সংক্রমণ, তাই কার্যত হোটেলবন্দি করে রাখা হয়েছে তাঁদের।

[আরও পড়ুন: রাখাইনের রোহিঙ্গা গ্রামে ফের হামলা মায়ানমারের সেনার, মৃত ২ মহিলা]

গবেষক কাজি আরিফ ইসলাম জানাচ্ছেন, তাঁরা একেবারেই পথেঘাটে বেরতে পারছেন না। যানবাহন অমিল, ফলে এক জায়গা থেকে অন্যত্রও যেতে পারছে না। তাঁর অনুমান, ইউহানে আড়াইশোর বেশি ভারতীয় পড়ুয়া আটকে। আর গোটা দেশে এই সংখ্যাটা অন্তত এক হাজার। বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাসের কাছে তাঁদের আরজি, দ্রুত তাঁদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। করোনা প্রভাবিত প্রদেশগুলি থেকে বিমান পরিষেবাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ভারতীদের দেশে ফেরানোর জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করা হবে কি না, তাও বা কতটা সম্ভব, এসব নিয়ে সংশয়ে গবেষকদল।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement