Advertisement
Advertisement
Microsoft

প্যালেস্তিনীয়দের উপর নজরদারিতে ‘আজুর ক্লাউড’ ব্যবহার ইজরায়েলি সেনার! তদন্তে মাইক্রোসফট

আজুর ক্লাউডের একটি অংশে কল রেকর্ড জমা করেছিল ইজরায়েলি সেনা।

Azur used by israel army for mass surveilance in gaza west bank

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:August 16, 2025 6:38 pm
  • Updated:August 16, 2025 6:38 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাইক্রোসফটের ক্লাউড পরিষেবা ‘আজুর’ ব্যবহার হয়েছে প্যালেস্তিনীয়দের উপর নজরদারি চালানো হত, এমনকী গাজায় গণহত্যায় কাজে আসত ‘আজুর’, ইজরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ইউনিট ৮২০০-র বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে মাইক্রোসফট। দ্য গার্ডিয়ান, +৯৭২ ম্যাগাজিন এবং লোকাল কলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাইক্রোসফটের প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্যালেস্তিনীয়দের কথোপকথন সংরক্ষণ করা হয়েছে। যদিও সত্য নাদেল্লার নেতৃত্বাধীন সংস্থা জানিয়েছে, এই কাজ তাদের নীতির পরিপন্থী এবং তদন্তের ফলাফল জানানো হবে।

Advertisement

চলতি বছরের মে মাসে মাইক্রোসফটের অভ্যন্তরীণ তদন্তে বলা হয়, গাজাবাসীর ক্ষতির জন্য আজুর ব্যবহারের প্রমাণ নেই। যদিও সংস্থার শীর্ষ নেতৃত্ব অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়নি। কিছু কর্মী হয়তো তাঁদের দেশের সেনার প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে তথ্য গোপন করেছেন! ইউনিট ৮২০০ প্রকল্পের খুঁটিনাটি জানতেন, এমন বহু মাইক্রোসফট কর্মী ওই সংস্থার প্রাক্তন সদস্য।

তদন্তে জানা গিয়েছে, আজুরের একটি পৃথক অংশে গাজা এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের লক্ষ লক্ষ কল রেকর্ড জমা করেছিল ইউনিট ৮২০০। এই বিপুল ভাণ্ডার থেকে পাওয়া তথ্য গাজায় হামলার লক্ষ্য নির্ধারণে ব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগ। ভিড়ের মধ্যে কাউকে টার্গেট করার সময় তাঁর আশেপাশের মানুষের কলও খুঁটিয়ে দেখা হত। প্রথমে এই ব্যবস্থা ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের কথা ভেবে তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে জমা তথ্য ব্যবহার করে প্যালেস্তিনীয়দের ব্ল্যাকমেল করা, আটক করা, এমনকী হত্যার ঘটনাকেও ন্যায্য বলে দেগে দেওয়া হত।

২০২১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ইউনিট ৮২০০-র প্রধান ইয়োসি সারিয়েল এই প্রকল্পের নেতৃত্বে ছিলেন। ফাঁস হওয়া নথি থেকে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের শেষ থেকেই মাইক্রোসফট জানত, ইউনিট ৮২০০ বিপুল পরিমাণ সংবেদনশীল তথ্য আজুরে স্থানান্তর করতে চাইছে। সেই সময় মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেল্লার সঙ্গে সারিয়েলের সাক্ষাৎ হয়। তবে সংস্থার দাবি, ওই সংক্ষিপ্ত বৈঠকে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নিয়ে আলোচনা হয়নি। কী তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে সে বিষয়ে তারা জানত না। যদিও ইজরায়েলে কর্মরত কিছু কর্মী, বিশেষত প্রাক্তন ইউনিট ৮২০০ অফিসাররা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য জানতেন বলে তদন্তে দাবি করা হয়েছে।

তথ্য ফাঁস হওয়ার পর মাইক্রোসফটের উপর মানবাধিকার কর্মীদের চাপ আরও বেড়েছে। সংস্থার কর্মীদের নেতৃত্বাধীন সংগঠন ‘নো আজুর ফর অ্যাপার্থেইড’ (No Azure for Apartheid) মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। তাদের অভিযোগ, নাদেল্লার সংস্থা গণহত্যা ও বর্ণবৈষম্যে ইজরায়েলকে সহযোগিতা করছে। তাদের দাবি, মাইক্রোসফটকে প্রকাশ্যে ইজরায়েলি সেনার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।

সংস্থার নতুন তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে অভিযোগ কতটা সত্যি এবং মাইক্রোসফটের ডেটা সেন্টারে কী ধরনের তথ্য সংরক্ষিত ছিল। ওই তথ্য কীভাবে ইজরায়েলি সেনা ব্যবহার করেছে তাও দেখা হবে। মাইক্রোসফট প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তদন্তের ফল প্রকাশ্যে জানানো হবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ