ফাইল ছবি।
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মার দিলে পালটা মার খেতেই হবে। সীমান্তের ওপার থেকে একপক্ষ লাগাতার উসকানি দিলে, গোলাগুলি চালালে তাদের ঘরে ঢুকে মারবে অন্যপক্ষ। এভাবেই লন্ডনের মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের পাকিস্তানকে হুঙ্কার দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য তথা বিদেশ সফররত সংসদীয় দলের সদস্য শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর সাফ কথা, ”তোমরা গুলি চালালে আমরা তোমাদের ঘরে ঢুকে মারব।” এদিন শমীকের বক্তব্যে উঠে আসে দেশভাগের কথা, জাতীয় সঙ্গীতে ঐক্যের বার্তা। অর্ধেক পাঞ্জাব কিংবা অর্ধেক বাংলা নয়, গোটাটাই ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা ছিল বলে মনে করেন তিনি।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানকে সবক শেখাতে ভারতীয় সেনার তরফে অপারেশন সিঁদুর চালামনো হয়। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের সীমান্তে ঢুকে জঙ্গিঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই অপারেশনের প্রয়োজনীয়তা, যৌক্তিকতা ও সাফল্য বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে কেন্দ্র সংসদীয় সর্বদলের প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছে বিভিন্ন দেশে। তাঁরা ‘সন্ত্রাসী’ পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতে দিকে দিকে তথ্যপ্রমাণ-সহ প্রচার করছেন। ইউরোপের একাধিক দেশ ঘুরে এই মুহূর্তে লন্ডনে রয়েছে তেমনই এক প্রতিনিধিদল। আর এই দলের সদস্য হিসেবে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য লন্ডনে বিদেশি প্রতিনিধিদের সামনে এ বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন।
শমীক বলেন, ”জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় আমাদের অন্তরে যে বেদনা হয়, তা তোমরা কখনও অনুভব করেছ? আমরা গাই – ‘পাঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মারাঠা/দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ’। অথচ আমরা অর্ধেক পাঞ্জাব, অর্ধেক সিন্ধু, অর্ধেক বাংলা নিয়ে আছি। পাকিস্তান তো আমাদের। একটা দেশে হিন্দু, মুসলমান একসঙ্গে থাকতে পারত না। তাহলেই যুদ্ধ বেঁধে যেত। আমরা শান্তির পথ বেছে নিয়েছি, তাই এককথায় দেশভাগ হতে দিয়েছি।”
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের মাঝে আমেরিকার নাক গলানো নিয়ে অভিযোগে সরব বিরোধীরা। অনেকেই বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথায় একবেলার মধ্যে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে মোদি সরকার। লন্ডনে তা নিয়েও কেন্দ্রের ভূমিকা স্পষ্ট করে দিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর ব্যাখ্যা, ”বিভিন্ন দেশ নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য যা খুশি বলতে পারে। তারা বলতেই পারে যে আলোচনার টেবিলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। কিন্তু বাস্তব তা নয়। দেশের মানুষ ‘মোদি মোদি’ বলে চিৎকার করছেন, তার কারণ, একমাত্র মোদিই একা দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইটা করেছেন।” বিদেশি প্রতিনিধিদের কাছে এভাবেই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কেন্দ্রের স্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা তুলে ধরেছেন শমীক ভট্টাচার্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.