সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার বেনজির গ্যাংওয়ারের সাক্ষী রইল ব্রাজিলের পারা রাজ্যের জেল। কমপক্ষে ৫৭ জনকে হত্যা করা হয় এদিন। যাদের মধ্যে মুণ্ডচ্ছেদ করা হয় ১৬ জন বন্দির। পারার প্রশাসন জানিয়েছে, দিনের পর দিন ব্রাজিলের জেলে কয়েদির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই বারবার এমন ঘটনার ঘটছে। গোটা বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ ব্রাজিল সরকার।
কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা নাগাদ ঘটনার সূত্রপাত। আলতামিরা একটি জেলে দুই বিরোধী গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। কমান্ডো ক্লাসে এ গোষ্ঠীর জেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বিরোধীরা। সেই সময় সেই জেলে বেশ কয়েকজন বন্দি ছিল। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই আগুনে পুড়ে মারা যায়। দুই রক্ষীকে আবার বন্দি করা হয়। যদিও পরে তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়। পালটা দেয় অন্য গোষ্ঠীও। মুণ্ডচ্ছেদ করা হয় অন্তত ১৬ বন্দির। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও। যা নৃশংসতার মাত্রা ছাড়িয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কাটা মুন্ডু নিয়ে রীতিমতো ফুটবল খেলছে বন্দিরা। জেল প্রধান জার্বাস জানান, গোটা বিষয়টাই পূর্ব-পরিকল্পিত। কিন্তু কোনওভাবেই বিষয়টা তাদের গোচরে আসেনি। দুই গোষ্ঠী একে অপরের উপর ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লড়াইতেই ঘটে যায় এতবড় ঘটনা।
যতদিন যাচ্ছে, অপরাধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে ব্রাজিলে। বন্দিদের সংখ্যার নিরিখে গোটা বিশ্বে তিন নম্বরে উঠে এসেছে ব্রাজিলের নাম। ফলে পরিস্থিতি মারাত্ম আকার নিচ্ছে। উল্লেখ্য, গত মে মাসে আমাজোনাসের জেলে প্রায় একইরকমের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ৫৫ জনের। এভাবে মৃত্যুমিছিলে চিন্তিত ব্রাজিল প্রশাসন। কিন্তু শক্ত হাতে হিংসা দমন করতেও ব্যর্থ তারা। এমন অবস্থায় সাধারণ জেলবন্দিদের কাছেও প্রতিটা মুহূর্ত আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। অপরাধী গোষ্ঠীর কারা সোমবারের এমন নৃশংস হত্যালীলায় জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেল প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.