Advertisement
Advertisement
Charlie Kirk

‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন চার্লি’, ট্রাম্প ঘনিষ্ঠকে প্রকাশ্য হত্যায় মুখ খুললেন নাভারো

চার্লি কার্কের হত্যায় নানা জল্পনা মার্কিন রাজনীতিতে।

Charlie Kirk 'could have been President', says Peter Navarro
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 16, 2025 10:39 am
  • Updated:September 16, 2025 11:08 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ দক্ষিণপন্থী নেতা চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ডে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। হত্যাকারী গ্রেপ্তার হলেও এই ঘটনার নেপথ্যে বড় মাথা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এরইমাঝে চার্লি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা পিটার নাভারো। তাঁর দাবি, “আগামী দিনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন চার্লি। গত ৫০ বছরের মধ্যে আমেরিকার সবচেয়ে মহান রাজনৈতিক সংগঠক।”

Advertisement

সোমবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন সচিব নাভার বলেন, “চার্লিকে ডেভিড অ্যাক্সলেরড এবং রাল্ফ রিডের সমকক্ষ একজন রাজনৈতিক সংগঠক। তিনি ২০০৮ এবং ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রচারের সময় ডেমোক্র্যাটিকদের প্রধান পরামর্শদাতা ছিলেন। রাল্ফ রিড ১৯৯০-এর দশকে স্টুডেন্টস ফর আমেরিকা (SFA) গোষ্ঠীর প্রধান মুখ ছিলেন।” একইসঙ্গে নাভারো বলেন, “আমি মনে করি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন চার্লি। গত ৫০ বছরের মধ্যে আমেরিকার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংগঠককে উনি। চার্লিকে একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তি হিসেবে আমাদের স্মরণ করা উচিত।”

উল্লেখ্য, গত বুধবার ১০ সেপ্টেম্বর, আমেরিকার উটার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখছিলেন চার্লি। সেই সময় অনুষ্ঠান চলাকালীন ক্যাম্পাসের ছাদ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি ছোড়ে আততায়ী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই হত্যাকাণ্ডে ২২ বছর বয়সী যুবক টাইলার রবিনসনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তার উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে যে রবিনসন কার্কের অতি-ডানপন্থী রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে ঘৃণা করতেন। যদিও খুনের নেপথ্যে বড় মাথা রয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের অন্যতম সহযোগী ছিলেন বছর একত্রিশের কার্ক। আমেরিকার তরুণ ভোটারদের বিপাবলিকান পার্টির দিকে আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প কার্ককে তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের একজন বলে মনে করতেন। ট্রাম্প এই হত্যাকাণ্ডের জন্য উগ্র বামপন্থীদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, কার্ক সত্য ও স্বাধীনতার জন্য শহিদ হয়েছেন। ট্রাম্প সরকার চার্লি কার্ককে আমেরিকার সবচেয়ে বড় অসামরিক সম্মান ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম’ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ