সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুশ তেল কেনা নিয়ে শনিবারই চিনকে শুল্ক হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ন্যাটো দেশগুলিকে চিনের উপর শুল্ক চাপানোর আহ্বান জানান তিনি। এই পরিস্থিতিতে এবার ট্রাম্পকে পালটা দিল চিন। তাদের স্পষ্ট বার্তা, চিন কোনও যুদ্ধ চায় না বা কোনও যুদ্ধে অংশগ্রহণও করত চায় না।
বর্তমানে স্লোভেনিয়া সফরে গিয়েছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। সেখানে তিনি বলেন, “যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে না। অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞা বা অর্থনৈতিক বাধা কেবল জটিলতা সৃষ্টি করে। আমরা কোনও যুদ্ধ চাই না বা কোনও যুদ্ধে অংশগ্রহণও করত চাই না।” শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ন্যাটো দেশগুলি রুশ তেল কেনা বন্ধ করলেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান হবে।” ন্যাটো সদস্যদের লেখা এক চিঠিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, সব ন্যাটো দেশ সম্মত হলে তিনি রাশিয়ার উপর বড় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত। সেক্ষেত্রে তাঁদেরকেও একই কাজ করতে হবে। পাশাপাশি, সব ন্যাটো দেশকে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে হবে। ট্রাম্পের অভিযোগ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ে ১০০ শতাংশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নয় ন্যাটো দেশগুলি।
রুশ তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা চিন। তালিকায় এর পরেই রয়েছে ভারত। তৃতীয় স্থানে তুরস্ক। তারাও ন্যাটোর সদস্য। ৩২টি রাষ্ট্রের ন্যাটো জোটের সদস্য হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়াও রুশ তেল কেনে। তাই, মস্কোর উপর বেজিং-এর প্রভাব কমাতে চিনের উপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ন্যাটো দেশগুলি চিনের উপর ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপাবে। যদিও যুদ্ধ শেষ হলে সেই শুল্ক প্রত্যাহারও করা হবে।” ট্রাম্পের এই শুল্ক হুঁশিয়ারির পরই ওয়াশিংটনকে কড়া বার্তা দিল বেজিং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.