Advertisement
Advertisement
China

পাকিস্তান-বাংলাদেশের সঙ্গে আঁতাঁত চিনের! প্রথম ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত

পদ্মাপাড়ে এখন ভারত বিরোধিতার হাওয়া।

China holds first trilateral meeting with Pakistan and Bangladesh
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:June 21, 2025 12:48 pm
  • Updated:June 21, 2025 1:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেখ হাসিনার পতনের পর অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে বাংলাদেশে। পালটে গিয়েছে কূটনৈতিক নীতিও। পদ্মাপাড়ে এখন ভারত বিরোধিতার হাওয়া। এই সুযোগে এখন ঢাকায় প্রভাব বিস্তার করছে চিন। ‘ভারতবন্ধু’র সংজ্ঞা বদলে পাকপ্রেমে মজে মহম্মদ ইউনুসের ‘নতুন’ বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে প্রথমবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসল চিন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ। যা নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত। 

জানা গিয়েছে, ব্যবসা, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য, জলসম্পদ-সহ নানা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে নিয়ে নতুন ত্রিপক্ষীয় জোট তৈরি করেছে চিন। ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ে গত বৃহস্পতিবার এই জোটের প্রথম আলোচনা হয়। যোগ দেন তিন দেশের বিদেশসচিব। গতকাল শুক্রবার এনিয়ে বেজিং ও ইসলামাবাদ যৌথভাবে বিবৃতি দেয়। জানানো হয়েছে, চিন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ একাধিক ক্ষেত্রে ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। এই জট কোনও তৃতীয়পক্ষের বিরুদ্ধে পরিচালিত নয়। এছাড়া সূত্রের খবর, তিন দেশের বৈঠকের ফাঁকে চিনের উপবিদেশমন্ত্রী সান ওয়েইডং আলাদাভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন বিদেশসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী ও পাকিস্তানের অতিরিক্ত সচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

আলোচনায় যোগ দেন তিন দেশের বিদেশসচিব।

গতকাল আলাদা করে একটি বিবৃতি দেয় চিনের বিদেশ মন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান উভয়ই চিনের ভালো প্রতিবেশি ও বন্ধু। তাই চিন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা তিনটি দেশের মানুষের সাধারণ স্বার্থে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই ত্রিপাক্ষিক সম্পর্ক তিন দেশের মানুষের জন্যই শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে। আগামিদিনে এই আলোচনা আরও বহুদূর এগিয়ে এনিয়ে যাওয়া হবে। আর তিন দেশের এই আঁতাঁতেই চিন্তিত দিল্লি।

সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, “ভারতের পূর্ব প্রান্তের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়, ওই বিরাট অঞ্চল কিন্তু পাহাড় আর স্থলভাগে ঘেরা। সমুদ্রপথে যোগাযোগ করার উপায়ই নেই তাদের। বাংলাদেশই হল সমুদ্রপথের রাজা। তাই ওই এলাকায় চিনা অর্থনীতির বিস্তার ঘটতেই পারে।” এই মন্তব্যের ইঙ্গিত অত্যন্ত স্পষ্ট যে, ভারতের ৭ রাজ্য (সেভেন সিস্টার)কে ভেঙে ফেলতে চায় বাংলাদেশ। এই একই ইচ্ছা চিনের। যদিও সেই চৈনিক চাল বারবার ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানও এখন ‘নতুন’ বাংলাদেশকে কাছে টানতে মরিয়া। যাতে ঢাকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারত বিরোধী শক্তিগুলোকে আরও তাতিয়ে দেওয়া যায়।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement