Advertisement
Advertisement
China

ভিসা ফি বাড়িয়েছেন ট্রাম্প! মেধা টানতে বড় পদক্ষেপ ‘সুযোগসন্ধানী’ চিনের

ব্রিটেনও চিনের মতোই একই পথে হাঁটতে চাইছে।

China's K visa will make visa war more interesting
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:September 22, 2025 5:58 pm
  • Updated:September 22, 2025 5:58 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: H-1B ভিসার দাম ১ লক্ষ ডলার (প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা) করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতদিন এই খরচ ছিল সাধ্যের মধ্যে। ভারতীয় মুদ্রায় ১৮ হাজার ৯৩৯ টাকা। স্বাভাবিক ভাবেই ট্রাম্পের এমন ঘোষণায় ভারতীয়রা পড়েছেন প্রবল সমস্যায়। আর এই পরিস্থিতির ফায়দা পুরোদস্তুর তুলতে প্রস্তুত চিন! আগামী ১ অক্টোবর থেকেই ‘কে ভিসা’ কার্যকর হতে চলেছে সেদেশে। বিশেষত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রের প্রতিভাবানদের আমেরিকা নয়, বেজিংয়েই স্বাগত জানাতে চাইছে জিনপিং সরকার। এহেন পদক্ষেপকে সুকৌশলী কূটনৈতিক পদক্ষেপ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

Advertisement

পরিসংখ্যান বলছে, বছরে অনুমোদনপ্রাপ্ত ৮৫ হাজার এইচওয়ানবি ভিসার ৭০ শতাংশই ভারতীয়দের। বিদেশে গিয়ে যাঁরা নিজেদের কেরিয়ার গড়তে চান, তাঁদের সিংহভাগের লক্ষ্যই থাকে ওই ভিসার। কিন্তু ট্রাম্পের ভিসাবোমায় সেই স্বপ্নই যেন ধাক্কা খেয়েছে। আর তারই সুবিধা তুলতে চাইছে চিন। অতি সম্প্রতি রাশিয়ার থেকে তেল কিনে ভারতের মতোই চিনও মার্কিন রক্তচক্ষুর সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বেজিং ও নয়াদিল্লি কাছাকাছি এসেছে। এবার সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ভারতীয় পড়ুয়াদের তাদের দেশে টানার কথা ভাবছে জিনপিং প্রশাসন। এদিকে ব্রিটেনও চিনের মতোই একই পথে হাঁটতে চাইছে বলেই খবর। এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, সেদেশের সেরা পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বিদেশিদের ভিসার জন্য কোনও ফি না নেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি অনুসরণ করে আমেরিকা জানিয়েছে, মার্কিন স্নাতকদের অগ্রাধিকার দিতেই এই পরিকল্পনা। মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক বলেছেন, ”কাউকে প্রশিক্ষণ দিতেই যদি হয়, তাহলে আমাদের মহান বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে সদ্য স্নাতকদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হোক। আমেরিকানদের প্রশিক্ষণ দিন। বাইরে থেকে আমাদের চাকরি খেতে লোক আনা বন্ধ করা হোক। প্রযুক্তি ক্ষেত্রও আমাদের এই পরিবর্তনকে সমর্থন করেছে। এই নতুন ভিসা ফি নিয়ে তারা দারুণ খুশি।” যদিও এখনও পর্যন্ত আমাজন, অ্যাপল, গুগল, মেটার মতো শীর্ষস্থানীয় মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলির কেউই প্রকাশ্যে এই নিয়ে কোনও মন্তব্যই করেননি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ