Advertisement
Advertisement
Princess Diana

ডায়ানা-ডোডির মৃত্যু ষড়যন্ত্র? গোপন গোয়েন্দা-রিপোর্ট জানতে মরিয়া ডোডির বাবা

১৯৯৭ সালে প্যারিসের সুড়ঙ্গে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ব্রিটিশ যুবরানি ডায়ানা ও তাঁর প্রেমিক ডোডির।

Conspiracy behind Princess Diana and her lover? Dodi's father seeked secret intelligent report till last day
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 23, 2025 10:31 am
  • Updated:June 23, 2025 10:44 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুড়ঙ্গের আঁধারে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া প্রেমিক যুগলের কীর্তি ক্যামেরায় ধরে রাখতে পাপ্পারাজিদের গাড়ি ধাওয়া এবং পরিণতিতে যুগলের মৃত্যুর সেই হাড়হিম ঘটনা এখনও ভুলতে পারেননি অনেকে। নয়ের দশকে প্যারিসের সুড়ঙ্গে ব্রিটিশ যুবরানি ডায়ানা এবং তাঁর প্রেমিক ডোডি আল ফায়েদের মৃত্যু কি ষড়যন্ত্র ছিল? জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সেই সত্য খুঁজে পেতে গোয়েন্দাদের গোপন রিপোর্ট জানতে মরিয়া হয়েছিলেন ডোডির বাবা তথা মিশরের প্রভাবশালী ব্যক্তি মহম্মদ আল ফায়েদ। এর জন্য লন্ডনের মিশরীয় ‘গুপ্তচর’দের বাড়তি অর্থও নাকি দিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রে এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর ডায়ানা-ডোডির মৃত্যু নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

প্রয়াত ব্রিটিশ যুবরানি ডায়ানা ও তাঁর প্রেমিক ডোডি। ফাইল ছবি।

সালটা ১৯৯৭। ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লসের সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক তখন তলানিতে ঠেকে গিয়েছিল যুবরানি ডায়ানার। প্রেমে পড়েছিলেন মিশরীয় বংশোদ্ভূত ঝকঝকে ব্রিটিশ তরুণে ইমাদ এল-দিন ডোডি, যিনি ডোডি আল ফায়েদ নামে অধিক পরিচিত ছিলেন। ডায়ানা-ডোডির প্রেমকাহিনী বাকিংহাম প্যালেসের অন্দরমহল ছাড়িয়ে তখন দিনের আলোর মতো প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। সেসব গুঞ্জন এড়াতে প্রেমের শহর প্যারিসে চলে গিয়েছিলেন ডায়ানা-ডোডি। সেখানের আলমা টানেলে দুরন্ত গতিতে গাড়ি চালানোর ফলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় ডায়ানা-ডোডি এবং গাড়িচালক হেনরি পলের।

প্রেমিকের সঙ্গে ছুটি কাটাতে দ্বীপে ব্রিটিশ যুবরানি ডায়ানা।ফাইল ছবি।

যদিও এই দুর্ঘটনা কতটা স্বাভাবিক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সেসময়। শোনা গিয়েছিল, ডায়ানা-ডোডিকে গাড়িতে দেখে নাকি ছবি শিকারির দল তাঁদের অন্তরঙ্গ ছবি তোলার জন্য তাড়া করেছিল। তাঁদের হাত থেকে বাঁচতে দ্রুতগতিতে গাড়ি নিয়ে তাঁরা ঢুকে পড়েছিলেন আলমা সুড়ঙ্গে। তাতেই নেমে আসে মৃত্যুফাঁদ। কিন্তু তিন বছর ধরে তদন্তের পর তৎকালীন পুলিশ কমিশনার জন স্টিভেন্স স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, গাড়ির অতিরিক্ত গতিই দুর্ঘটনার কারণ। চালক হেনরি পল স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে তিনগুণ বেশি মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটে এবং তিনজনের মৃত্যু হয়।

তবে সেই রিপোর্ট বিশ্বাস করতে চাননি ডোডির বাবা মহম্মদ আল ফায়েদ। শোনা যায়, তিনি ছেলের প্রাণহানির নেপত্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে ঘোর সন্দেহপ্রকাশ করেছিলেন। আর তাই গোয়েন্দাদের গোপন রিপোর্ট হাতে পেতে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছেন। ২০২৩ সালে মারা যান মহম্মদ আল ফায়েদ। তার আগে পর্যন্ত সত্য জানতে মরিয়া ছিলেন। এমনকী এও সন্দেহ করেছিলেন, তাঁর কোনও ব্রিটিশ উত্তরসূরি রয়েছে, যাকে আড়াল করতে প্রেমিক যুগলকে হত্যা করা হয়। তবে নিজের লক্ষ্যে সফল হননি ডোডির বাবার। দুর্ঘটনা ছাড়া ডায়ানা-ডোডির মৃত্যু নিয়ে আর কোনও তথ্যই বেরয়নি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement