Advertisement
Advertisement
অক্সফোর্ড করোনা ভ্যাকসিন

টিকা নেওয়ার পরই অসুস্থ স্বেচ্ছাসেবক! স্থগিত অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ট্রায়াল

করোনার ভ্যাকসিন তৈরির লড়াইয়ে বড় ধাক্কা, ভারতেও চলছিল এর ট্রায়াল।

COVID 19: Pharma Firm AstraZeneca Pauses Coronavirus Vaccine Trial

ছবি: প্রতীকী

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 9, 2020 8:47 am
  • Updated:September 9, 2020 8:47 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) ভ্যাকসিন তৈরির লড়াইয়ে বড় ধাক্কা। স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে অপ্রত্যাশিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হল অক্সফোর্ড- তৈরি করোনার ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল। কেন ওই স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হলেন? নেহাতই দুর্ঘটনা নাকি ভ্যাকসিনেই কোনও সমস্যা আছে? এসব স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে ট্রায়াল শুরু করা হবে না।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে অ্যাস্ট্রোজেনেকার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অপ্রত্যাশিতভাবে একজন ভলান্টিয়ার অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাঁদের তৈরি করোনার (COVID-19) টিকার ট্রায়াল সাময়িকভাবে বন্ধ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই টিকা নেওয়ার পর একজন স্বেচ্ছাসেবক অতিরিক্ত জ্বরে কাবু হয়ে পড়েছেন। আর সেজন্যই নিয়ম অনুযায়ী এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল এই মুহূর্তে পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। অ্যাস্ট্রোজেনেকা(AstraZeneca) জানিয়েছে, এটা একটা রুটিন প্রক্রিয়া। কোনও স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ট্রায়াল বন্ধ করে দেওয়াটাই দস্তুর। এরপর সংস্থার রিভিউ কমিটি পুনরায় ভ্যাকসিনটির ক্ষতিকর প্রভাব আছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে। তাঁরা ছাড়পত্র দিলেই ফের শুরু হবে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের কাজ। সংস্থাটি দাবি করেছে, অনেক সময় দুর্ঘটনাবশত এই ধরনের অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, একটি ক্ষেত্রেই এমন কেন হল, তা তাঁরা খতিয়ে দেখতে চায়।

[আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান, সাধারণ নাগরিকদের জন্য ‘স্পুটনিক ফাইভ’ বাজারে আনল রাশিয়া]

উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত মনে করা হচ্ছিল অক্সফোর্ডের (Oxford) এই ভ্যাকসিনই করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে নিরাপদ এবং উপযোগী। প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে সাফল্যের পর সেই ধারণা আরও পোক্ত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর ট্রায়াল শুরু হয়েছে। শুধু আমেরিকাতেই প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই ভ্যাকসিনটি দেওয়ার কথা ছিল। ভারতেও সেরাম ইন্সটিটিউটের তত্ত্বাবধানে এই ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছিল। তবে, সবই এখন বন্ধ রাখা হবে। যদিও, ভ্যাকসিনের ট্রায়াল এইভাবে সাময়িক বন্ধ রাখাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু কোনও করোনার ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে এটাই প্রথমবার ঘটল। এর ফলে ভ্যাকসিন তৈরির লড়াইয়ে সংস্থাটি কিছুটা পিছিয়ে পড়ল, সেটা বলাই বাহুল্য।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ