Advertisement
Advertisement

কালো টাকার কারবারে জড়ালেন রাহত, ফওয়াদ খানরাও!

Did Pak artists engage in black Money transaction?

Did Pak artists engage in black Money transaction?
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 16, 2016 2:53 pm
  • Updated:November 16, 2016 2:53 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক হানায় যখন দেশ জেরবার, তখন এ দেশে পাক শিল্পীদের কাজ করাও নিষিদ্ধ। দেশের প্রযোজক সংস্থা ইমপার এ নির্দেশের জেরে জমেছিল জোর বিতর্ক। আগুনে ঘি দিয়েছিল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার ফতোয়া। তা নিয়ে রীতিমতো দ্বিধাভক্ত ছিল দেশের শিল্পীমহল। সে বিতর্ক এবার নয়া মোড় নিল। এবার কালো টাকার কারবারে জড়িয়ে থাকার অভিযোগ উঠল পাক শিল্পীদের বিরুদ্ধে। এই তালিকায় আছেন প্রখ্যাত গায়ক শফকত আমানত আলি খান, রাহত ফতে আলি খানও এবং ফওয়াদ খানের মতো অভিনেতাও।

Advertisement

সম্প্রতি এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের এক স্টিং অপারেশনের জেরে এ তথ্য সামনে আসে। নয়াদিল্লিতে মনু কোহলি নামে শফকত আমানত আলি খানের ম্যানেজারের কাছে যান সাংবাদিকরা। এক ব্যবসায়ীর মেয়ের বিয়েতে পারফর্ম করার অনুরোধ করা হয়। জানানো হয়, তার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা নেবেন শিল্পী। বাকি খরচপাতিও উদ্যোক্তাদের দিতে হবে। পুরোটাই হবে বৈধভাবে। এরপরই আস্তিন থেকে লুকনো তাস বের করেন সাংবাদিকরা। জানানো হয়, ৭ লক্ষ টাকা কাগজে-কলমে দেওয়া হবে। বাকি লেনেদেন হবে কালো টাকায়। বেশ কিছুক্ষণ দামদর করার পর রাজি হয়ে যান ম্যানেজার।

একই সওদা করা হয় গায়ক রাহত ফতে আলি খানের ম্যানেজারের সঙ্গে। তাঁর পারফরম্যান্সের জন্য দেওয়ার কথা ছিল ৬৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ২৩ লক্ষ টাকা বৈধভাবে দেওয়ার কথা হয়। বাকিটা অবৈধভাবেই নিতে রাজি হন ম্যানেজার।

জানা যাচ্ছে, একই চিত্রনাট্য কাজে লেগে যায় ফাওয়াদ খানের ম্যানেজারের ক্ষেত্রেও। এক বিয়েবাড়িতে উপস্থিত থাকার জন্য প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। তার মাত্র ৩ লক্ষ টাকার লেনদেন বৈধ ও বাকি ৩২ লক্ষই অবৈধভাবে করতে রাজি হন ম্যানেজাররা।

এই স্ট্রিং অপারেশনের পরই নড়েচড়ে বসেছে বিভিন্ন মহল। কালো টাকা রোখার অভিযানে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সব শিল্পীদের সামনে রেখেই কালো টাকা যে সাদা করতেন অসাধু ব্যবসায়ীরা তা প্রায় স্পষ্ট। এতদিন শিল্পের কোনও সীমানা হয় না বলে অনেকে শিল্পীদের পাশে দাঁড়াচ্ছিলেন অনেকে। কিন্তু এর পরে হয়তো অনেকেই ফওয়াদ খানদের পাশে দাঁড়াতে চাইবেন না। এর ফলে ভারতে ফওয়াদ খানদের কাজ করার ভবিষ্যত আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড়ল।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস