Advertisement
Advertisement
Donald Trump

অর্থনৈতিক সমঝোতার আড়ালে নতুন অভিসন্ধি পাকিস্তানের? ছবি ঘিরে তুঙ্গে উত্তেজনা

ছবির অন্তর্নিহিত অর্থ খুঁজতে মরিয়া রাজনৈতিক মহল।

Donald Trump gifter rare earth mineral by pakistan

ছবি: সমাজ মাধ্যম

Published by: Anustup Roy Barman
  • Posted:September 28, 2025 4:52 pm
  • Updated:September 28, 2025 4:52 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-মার্কিন সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝেই ঘোলা জলে নেমে পড়েছে পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে অন্তত তিন বার মার্কিন আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছে পাক শীর্ষ নেতৃত্ব। ট্রাম্পের সঙ্গে সদ্য বৈঠক করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ট্রাম্পের সঙ্গে ব্রিফকেস ভর্তি খনিজ নিয়ে ছবি তুলেছেন শরিফ। এই ছবির অন্তর্নিহিত অর্থ খুঁজতে মরিয়া রাজনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অর্থনৈতিক সমঝোতার আড়ালে লুকিয়ে আছে পাক ভূ-রাজনৈতিক অভিসন্ধি।

Advertisement

গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ছবি দেখা গিয়েছে। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে ট্রাম্পকে কিছু দুর্লভ খনিজ পদার্থ উপহার দিচ্ছেন শরিফ এবং মুনির। যদিও অন্যান্য বৈঠকের মতো কোনও ছবি অথবা বিবৃতি দেয়নি হোয়াইট হাউস।

এই মাসের শুরুতেই ইসলামাবাদে দু’টি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। উপস্থিত ছিলেন শরিফ এবং মুনির দুজনেই। মার্কিন সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস স্ট্র্যাটেজিক মেটালসের সঙ্গে এই চুক্তি হয়। এর মাধ্যমে তামা, সোনা, এবং অন্যান্য বিরল খনিজ রপ্তানি এবং পাকিস্তানে এর শোধনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। শরিফ জানিয়েছেন, চুক্তির প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হবে পাকিস্তানে। এই মৌ স্বাক্ষরে, খনির লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়নি। এর মাধ্যমে পাকিস্তান খনিজ উত্তোলনের ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বালুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং গিলগিট-বালতিস্তানের মতো খনিজ সমৃদ্ধ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে খনিজ উত্তোলন করতে কয়েক বছর সময় লাগবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে পাকিস্তানের খনিজ কূটনীতি আসলে আমেরিকার সঙ্গে তাদের কৌশলগত সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত। পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনা প্রধান এই চুক্তিকে ‘অর্থনৈতিক সুযোগ, এবং এর আড়ালে কৌশলগত করমর্দন’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এই খনিজ চুক্তিগুলি ওয়াশিংটনের এবং ইসলামাবাদের সম্পর্ককে স্থিতিশিল করবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। যদিও, চুক্তিগুলিড় বাস্তবায়ন এবং সেখান থেকে বাণিজ্যিক লাভ পাওয়া নির্ভর করবে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামোর উপর।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ