Advertisement
Advertisement
Donald Trump

এবার বিভেদ ঘুচিয়ে দুই কোরিয়ায় শান্তি ফেরাবেন ট্রাম্প! শিগগিরি কিমের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জি মিউং।

Donald Trump hints at meeting with North Korea's Kim Jong Un

ফাইল ছবি

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:August 26, 2025 4:55 pm
  • Updated:August 26, 2025 4:55 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২ জুন ২০১৮। একটি সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল। সিঙ্গাপুরে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে হাত মিলিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। মসনদে ফিরেই ‘বন্ধু’র খবর নিয়েছিলেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা। এবার তিনি দাবি করলেন, শিগগিরি কিমের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জি মিউং। তাঁর আশা, দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে পারেন একমাত্র ট্রাম্পই।

Advertisement

এদিন হোয়াইট হাউসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান ট্রাম্প। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ”আমি কিমের সঙ্গে এবছরই সাক্ষাৎ করব। সাক্ষাতের জন্য মুখিয়ে রয়েছি। ওঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো।” এখানেই শেষ নয়। ট্রাম্প এমনও দাবি করেছেন যে, কিমকে তাঁর মতো করে কেউই চেনে না। এমনকী তাঁর বোন কিম ইয়ো জংও।

পরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”আমার আশা কোরিয়ায় শান্তি ফেরাতে পারবেন আপনিই। আপনি কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করুন। এবং ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড গড়ে তুলুন। যেন উত্তর কোরিয়ার লোক সেখানে গলফ খেলতে পারে। আপনিই ঐতিহাসিক ভাবে সারা বিশ্বের শান্তি রক্ষাকারী হতে পারবেন।”

বলে রাখা ভালো, প্রথম জমানায় বহুল সমালোচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিদেশনীতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হয় কিম-ট্রাম্প সাক্ষাৎকে। সেই বৈঠকে পারস্পারিক সহযোগিতার বার্তা দেন দুই রাষ্ট্রপ্রধানই। দুই দেশের প্রধানের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তবে তার মধ্যে প্রধান ছিল পারমাণবিক শক্তি। বৈঠক শেষে কিম পরমাণু পরীক্ষা বন্ধ করা নিয়ে আলোচনায় রাজিও হন। যদিও সব মিলিয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত হওয়া তিনটি বৈঠকের পরও দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনও স্থায়ী পরিবর্তন দেখা যায়নি। তবু কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্বের সম্পর্ক মজবুত হয়েছিল। সেই বন্ধুত্ব কি কোনও নতুন মোড় নেবে? শান্তি ফিরবে দুই যুযুধান দেশে? প্রশ্নগুলো সহজ মনে হতে পারে। কিন্তু উত্তর এখনও জানা নেই কারও। এহেন পরিস্থিতিতে নিশ্চিত ভাবেই গোটা বিষয়টির দিকে নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ