সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে ঝাঁপ দিতে চলেছে আমেরিকা? মঙ্গলবার জি-৭ বৈঠক মাঝপথে ছেড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা ফেরা ও মার্কিন নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর এমনই আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার সিচুয়েশন রুমে দীর্ঘ বৈঠক করেন ট্রাম্প। যেখানে ইরানের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রগুলি ধ্বংসের রণনীতি তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, জি-৭ বৈঠক থেকে ফিরেই হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। এটা হোয়াইট হাউসের সেই গোপন ঘর যেখান থেকে ‘অপারেশন নেপচুন স্পেয়ার’ বা লাদেন হত্যার লাইভ দেখছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই সিচুয়েশন রুমের বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হয়। এনবিসি নিউজ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকা যদি ইরানে হামলা চালায় সেক্ষেত্রে যাবতীয় ঝুঁকির বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে এই বৈঠকে। এদিকে ইজরায়েলের আধিকারিকদের তরফে সিএনএনকে দেখা সাক্ষাৎকারে জানানো হয়েছে, ‘আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইরানের উদ্দেশে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, খামেনেই ঠিক কোথায় লুকিয়ে সেটা তিনি জানেন। তবে এখনই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাকে হত্যা করতে চান না তিনি। সেজন্য ইরানকে একটাই শর্ত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ‘নিরীহ’ নাগরিকদের উপর মিসাইল ছোড়া বন্ধ করে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে হবে। নিজের সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথে ট্রাম্পের পোস্ট, “আমরা জানি ঠিক কোথায় তথাকথিত ওই সুপ্রিম লিডার লুকিয়ে। ওকে টার্গেট করাটা খুবই সহজ। তবে আপাতত ওখানে ও নিরাপদ। এখনই আমরা ওকে হত্যা করতে চাইছি না।” পাশাপাশি ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানের হাতে আত্মরক্ষা ও হামলা চালানোর জন্য যথেষ্ট উপকরণ রয়েছে ঠিকই। তবে তা আমেরিকার সামনে কিছুই নয়। ওদের অস্ত্র আমেরিকাকে আটকাতে পারবে না।’ ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তবে কী সরাসরি যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ট্রাম্প?
সেই জল্পনাকে আরও উসকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স সোশাল মিডিয়ায় জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ব্যবহার করতে পারেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘ইরানের পরমাণু গবেষণা কর্মসূচি বন্ধ করতে আরও বড় পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে সেই বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্টই নেবেন।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.