Advertisement
Advertisement
Donald Trump

এক বছরে আয় ৬০০ মিলিয়ন ডলার, ক্রিপ্টোর দৌলতেই ‘লালে লাল’ ধনকুবের ট্রাম্প!

ক্রিপ্টোর দুনিয়ায় আয়ের নিরিখে এক বিরাট লাফ দিয়েছে ট্রাম্প।

Donald Trump reveals 600 million earnings from Crypto and others

ফাইল ছবি

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:June 15, 2025 3:19 pm
  • Updated:June 15, 2025 3:19 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামের পাশে রয়েছে শিল্পপতি তকমা। দেশ চালানোর পাশাপাশি তিনি ব্যবসাও চালিয়ে যাচ্ছেন সমানতালে। সেইমতো ২০২৪ অর্থবর্ষে নিজের আয়ের হিসেব প্রকাশ্যে এনেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানে দেখা যাচ্ছে গত অর্থবর্ষে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছেন তিনি। এই আয়ের বেশিরভাগটাই এসেছে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে। এছাড়াও গলফ ক্লাব, রিসর্টের ব্যবসায় রীতিমতো ফুলেফেঁপে উঠেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

গত ১৩ জুন নিজের আগের বিস্তারিত হিসেব তুলে ধরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ২৩৪ পাতার বিরাট এই আর্থিক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে কোন কোন খাতে কত পরিমাণ টাকা আয় করেছেন ট্রাম্প। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, গত বছর তাঁর আয় হয়েছে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। এর পাশাপাশি সদ্য প্রকাশিত বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১.৬ বিলিয়ন ডলার। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৩২০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন তাঁর নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি ‘মিম’ প্রোজেক্ট। যদিও এখানে ট্রাম্পের সংস্থার শেয়ার কত তা স্পষ্ট করা হয়নি। পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফিনান্সিয়াল নামক ডিফাই প্রতিষ্ঠানের টোকেন বিক্রি থেকে ট্রাম্পের আয় হয়েছে ৫৭.৩৫ মিলিয়ন ডলার। তিনি ওই প্রকল্পে প্রায় ১৫.৭৫ মিলিয়ন গভর্নেন্স টোকেনের মালিক। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞদের দাবি, ক্রিপ্টোর দুনিয়ায় আয়ের নিরিখে এক বিরাট লাফ দিয়েছে ট্রাম্প ও তাঁর পরিবার।

শুধু তাই নয়, আমেরিকায় ট্রাম্পের গলফ কোর্স, হোটেল ও রেস্তোরাঁ থেকে ট্রাম্প আয় করেছেন ২১৭.৭ মিলিয়ন ডলার। ফ্লোরিডায় তাঁর তিনটি গলফ রিসর্ট থেকে আয় হয়েছে মোট ১০০ মিলিয়ন ডলার। ন্যাশনাল ডোরাল থেকে ট্রাম্পের আয় ১১০.৪ বিলিয়ন। বিদেশে ট্রাম্পের সংস্থার আয়ও নেহাত কম নয়। লাইসেন্স ফি বাবদ ভিয়েতনামের একটি রিয়েল এস্টেট প্রকল্প থেকে তাঁর আয় ৫ মিলিয়ন, দুবাই থেকে ১৬ মিলিয়ন, ভারত থেকেও ১০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন তিনি। এছাড়া, ট্রাম্প ওয়াচেস, ট্রাম্প স্নিকার্স অ্যান্ড ফ্রেগনেন্স, দ্য গ্রিনউড বাইবেল-এর মতো নিজস্ব ব্র্যান্ড থেকে তাঁর যথাক্রমে আয় ২.৮, ২.৫ ও ১.৩ মিলিয়ন ডলার। এমনকী ডিজিটাল পণ্যের দিক থেকে এনএফটি ট্রেডিং কার্ড থেকে ট্রাম্পের আয় ১.১৬ মিলিয়ন।

এদিকে ট্রাম্পের এহেন বিপুল আয় নিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে বিতর্কও বেড়েছে। অভিযোগ উঠছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাঁর বাণিজ্যিক সাম্রাজ্য ফুলেফেঁপে উঠেছে। ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব ট্রাম্প নিজের সন্তানদের হাতে দিলেও আয়ের সুবিধাভোগী এখনো ট্রাম্প নিজেই। যার জেরে বিতর্ক আরও বেড়েছে। হোয়াইট হাউসের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য না করা হলেও। আমেরিকার গণতন্ত্রের জন্য এই ঘটনাকে উদ্বেগজনক হিসেবে দেখছেন বিরোধীরা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement