ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ট্রাম্পের নিশানায় অভিবাসীরা। এবার নজরে H1B ভিসা। শুক্রবার একধাক্কায় এই ভিসার দাম ১ লক্ষ ডলার (প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা) করে দেন ট্রাম্প। এই ভিসার ধাক্কায় যেমন মার খাবে বহু ভারতিয়র ‘মার্কিন স্বপ্ন’, তেমনই চাপে পড়বে বড় বহুজাতিক সংস্থাগুলি। কম টাকায় ভারত থেকে কর্মীদের আমেরিকায় পাঠিয়ে মুনাফা বাড়ানোর চেষ্টা মার খাবে টিসিএস, ইনফোসিস, উইপ্রোর মত ভারতীয় সংস্থা। পাশপাহশি চাপ বাড়বে অ্যামাজন এবং মাইক্রোসফটের মত সংস্থার উপরেও। ইতিমধ্যেই মেটা- এবং মাইক্রোসফটের মত সংস্থাগুলি তাঁদের কর্মীদের আমেরিকায় ফেরার নির্দেশ দিয়েছে। আমেরিকার বাইরে থাকা বিদেশি কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁরা ফের আমেরিকা ছাড়ার আগে নতুন নির্দেশের অপেক্ষা করেন।
২০২৫ সালে যত ভিসা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভিসা পেয়েছে টিসিএস-এর কর্মীরা। টিসিএস-এর প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী এই ভিসা পেয়েছেন। তালিকায় প্রথমে রয়েছে অ্যামাজন। আমেরিকার অভিবাসন দপ্তর জানিয়েছে, ২০২৫ সালের জুন মাসের তথ্য অনুযায়ী অ্যামাজনের ১০ হাজার ৪৪ জন কর্মী এই ভিসা ব্যবহার করছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা টিসিএস-এর ৫ হাজার ৫০৫ জন কর্মী এই ভিসা পেয়েছেন।
অন্যান্য যে সংস্থা এই ভিসার সবথেকে বেশি ব্যবহার করছে তার মধ্যে রয়েছে মাইক্রোসফট (৫১৮৯ জন), মেটা (৫১২৩ জন), অ্যাপল (৪২০২ জন), গুগল (৪১৮১ জন), ডেলয়েট (২৩৫৩ জন), ইনফোসিস (২০০৪ জন), উইপ্রো (১৫২৩ জন) এবং টেক মাহিন্দ্রা আমেরিকাস (৯৫১ জন)। যদিও এখনও পর্যন্ত আমাজন, অ্যাপল, গুগল, মেটার মতো শীর্ষস্থানীয় মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলির কেউই প্রকাশ্যে এই নিয়ে কোনও মন্তব্যই করেননি।
জুলাই মাসে মার্কিন অভিবাসন দপ্তর জানায়, ২০২৬ অর্থবর্ষের জন্য যে পরিমাণ আবেদন জমা পড়েছে তাতে খুব সহজেই H1B ভিসার ৬৫ হাজারের কোটা এবং মাস্টার্স ক্যাপের ২০ হাজার ভিসার কোটা সহজেই পূরণ হবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আমেরিকায় আসা বিদেশী STEM (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গণিত) কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। আগে এই সংখ্যা ছিল ১.২ মিলিয়ন, যা এখন হয়েছে ২.৫ মিলিয়ন। যদিও, এই শাখায় সামগ্রিক কর্মসংস্থান মাত্র ৪৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, কম্পিউটার এবং গণিত সংক্রান্ত পেশায় বিদেশী কর্মী ২০০০ সালে ছিল ১৭.৭ শতাংশ, যা বেড়ে ২০১৯ সালে হয়েছে ২৬.১ শতাংশ। ট্রাম্পের দাবি H-1B ভিসার অপব্যবহারই এত পরিমাণ বিদেশি কর্মীর আমেরিকায় আসতে পারার কারণ। প্রেসিডেন্টের দাবি, তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলি H-1B সিস্টেমের ‘অপব্যবহার’ করায় কম্পিউটার-সংক্রান্ত চাকরির ক্ষেত্রে আমেরিকান কর্মীদের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করছে।
ট্রাম্পের এই নতুন নিয়মে পেশাদারি ভিসার খরচ এভাবে অনেকখানি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় আমেরিকায় কাজ করতে ইচ্ছুক ভারতীয়দের পাশাপাশি মার্কিন সংস্থাগুলির কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়বে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.