সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে ফের পাক শীর্ষ নেতৃত্বের সুখ্যাতি। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। গাজার যুদ্ধ বন্ধে ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই প্রস্তাব সমর্থন করায় ট্রাম্পের কাছ থেকে দরাজ সার্টিফিকেট পেলেন তাঁরা।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানিয়েছেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং ফিল্ড মার্শাল শুরু থেকেই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা অসাধারণ। তাঁরা সদ্য বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন শান্তিচুক্তির উপর তাঁদের ভরসা রয়েছে।” পাকিস্তানের পাশাপাশি, বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং আরব দেশের নেতাদের ট্রাম্প ধন্যবাদ জানিয়েছেন গাজা যুদ্ধ শেষ করার ক্ষেত্রে তাঁর নতুন প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানানোর জন্য।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর প্রস্তাবে রাজি হলে যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ হবে। “বন্দিমুক্তির প্রস্তুতির জন্য ইজরায়েল সেনা প্রত্যাহার করবে। এই সময়ের মধ্যে, বিমান এবং অন্যান্য হামলা-সহ সমস্ত সামরিক অভিযান স্থগিত করা হবে এবং শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ থাকবে। ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুসারে, ইজরায়েল প্রকাশ্যে এই চুক্তি মেনে নেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত বা মৃত সকল বন্দিকে ফিরিয়ে দিতে হবে হামাসকে। মঙ্গলবার হামাসকে হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর প্রস্তাবিত চুক্তির বিষয়ে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত না নিলে ফল মারাত্মক হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “হয় হামাস হয় এটা করবে, অথবা করবে না। আর যদি না করে, তাহলে পরিণতি খুবই দুঃখজনক হবে।”
কিছুদিন আগেই পাক প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। এই বৈঠকের পরেই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হয়। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের টানাপড়েন বেড়েছে। চিন এবং রাশিয়ার সঙ্গে সখ্য বাড়িয়েছেন মোদি। সেই সুযোগে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তান। কী হবে উপমহাদেশের ভবিষ্যৎ সেই নিয়ে ধোঁয়াশায় রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.