ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন মোড়! তিন ঘণ্টার আলাস্কা বৈঠকেও সমাধানসূত্র না মেলার পরে এবার মধ্যস্থতার পথ থেকে সরে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টায় সরাসরি অংশগ্রহণ থেকে সরে আসছেন। ট্রাম্প সহযোগীদের জানিয়েছেন, তিনি চান মার্কিন-মধ্যস্থতায় শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের আগে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের নেতারা একান্তে দেখা করুন। সেই বৈঠকে মার্কিন মধ্যস্থতা চাইছেন না ট্রাম্প। তাই পরবর্তী পর্যায়ের শান্তি আলোচনায় সরাসরি দেখা নাও যেতে পারে ট্রাম্পকে।
জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের নজরে ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসানের ক্ষেত্রে পরবর্তী ধাপ হলো পুতিন এবং জেলেনস্কির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। যদিও সেই বৈঠক হবে কিনা তা এখনও অনিশ্চিত। একটি রেডিও সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানিয়েছেন, “তারা বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করছেন এবং আমি দেখতে চাই বৈঠকে কী হয়।” এই কৌশল ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার প্রতিশ্রুতির থেকে একদম আলাদা। দ্রুত সাফল্য অর্জনের চেষ্টার বদলে এই ক্ষেত্রে ট্রাম্প ধিরে চলো নীতি নিয়েছেন। যদিও আলাস্কা বৈঠকের পরে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ইতিমধ্যেই তিনি পুতিনকে ফোন করেছেন। কোথায় শান্তি বৈঠক হতে পারে সেই নিয়ে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। ট্রাম্প জানান, পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠকে হাজির থাকবেন তিনি নিজেও।
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে সোমবার হোয়াইট হাউসে যান জেলেনস্কি। সঙ্গে একাধিক ইউরোপীয় রাষ্ট্রপ্রধান। প্রায় চার বছর ধরে চলতে থাকা যুদ্ধের অবসান হবে বলে আশাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানা গিয়েছে, ফোনে পুতিনের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেছেন ট্রাম্প। যথেষ্ট ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। সোমবার বৈঠক শুরুর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট একটি চিঠি তুলে দেন বলে খবর। সেই চিঠি আমেরিকার ফার্স্ট লেডির উদ্দেশে জেলেনেস্কির স্ত্রী ওলেনা ভোলোদিমিরিভনা লিখেছেন বলে জানা গিয়েছে। যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে কি কোনও বার্তা আছে ওই চিঠিতে? সেই প্রশ্ন রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
পৃথিবীজুড়ে অশান্ত সময়ে একেরপর এক যুদ্ধে শান্তি চুক্তির চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। এমনকি ভারত-পাক যুদ্ধ বন্ধের কৃতিত্বও তিনি নিজেই নিজের হাতে নিয়ে নেন। যদিও ভারত পরে দাবি করে যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের কোনও ভূমিকা ছিল না। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট গত মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ছয় মাসের মেয়াদে গড়ে প্রতি মাসে একটি শান্তি চুক্তি বা যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.