Advertisement
Advertisement
Donald Trump

‘পণবন্দিদের মুক্তি না দিলে হাল আরও খারাপ হবে’, হামাসকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

বহু পণবন্দির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ট্রাম্পের।

Donald Trump urges release of Israeli hostages, warns of nasty situation if not freed

ফাইল ছবি

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 6, 2025 6:36 pm
  • Updated:September 6, 2025 6:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলের লাগাতার হামলায় এমনিতেই ‘নরকদর্শন’ হয়েছে গাজার। তবে এটাই শেষ নয়, এবার খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিলেন, যদি হামাস পণবন্দিদের মুক্তি না দেয় তাহলে হাল আরও খারাপ হবে। পাশাপাশি, ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ থামাতে ‘গভীর’ আলোচনা চলছে বলে দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

মার্কিন সময় অনুযায়ী শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গাজার প্রসঙ্গ উঠলে ট্রাম্প বলেন, “ওয়াশিংটন হামাসের সঙ্গে গভীর আলোচনা চালাচ্ছে। হামাসকে অবশ্যই পণবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। যদি তারা বন্দিদের মুক্তি না দেয় সেক্ষেত্রে ওদের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ ও জটিল হয়ে উঠবে।” রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “আমরা ওদের বলেছি বন্দিদের মুক্তি দাও। অন্যাথায় হাল খারাপ করে ছেড়ে দেব।” যদিও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় হামাসের তরফে কী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, হামাসের হাতে বন্দি অবস্থায় বহু পণবন্দির ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হওয়া হামলার বদলা নিয়ে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেন নেতানিয়াহু। তার পর থেকেই লড়াই জারি রয়েছে গাজায়। যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত গাজায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজারেরও বেশি। পাশাপাশি আহতের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ। অন্যদিকে হামাসের হাতে এখনও পণবন্দি রয়েছেন বহু মানুষ। ইজরায়েলের অন্দরেই অভিযোগ উঠেছে, পণবন্দিদের উদ্ধারের কোনও চেষ্টা করছেন না নেতানিয়াহু।

এদিকে আমেরিকা ও ইজরায়েল যৌথ উদ্যোগে গাজাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার নয়া পরিকল্পনা করেছে। যে পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘গ্রেট’ (Gaza Reconstitution, Economic Acceleration, and Transformation)। এই প্রকল্পে সেখানকার ২০ লক্ষ বাসিন্দাকে অস্থায়ীভাবে সরানো হবে মিশর, কাতারের মতো দেশগুলিতে। যতদিন না গাজাকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে ততদিন দেশছাড়া হয়ে থাকতে হবে বাসিন্দাদের। প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে অন্তত চার বছর সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সময়কালে গাজার বাসিন্দাদের বাইরে থাকার ভাড়ার ভর্তুকি, ডিজিটাল টোকেন ও নগদ কিছু অর্থ দেওয়া হবে। এক বছর পর্যন্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement