Advertisement
Advertisement
Chris Wright

‘ভারতকে শাস্তি দিতে চাই না…’, শুল্ক নিয়ে সুর নরম ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠের

রুশ তেল কেনা নিয়ে নয়াদিল্লিকে পরামর্শও দিলেন তিনি।

Donald Trump's aide Chris Wright talks about India
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:September 25, 2025 11:04 am
  • Updated:September 25, 2025 11:04 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতকে শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য আমেরিকার নয়। ওয়াশিংটন শুধু ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক কর্মকাণ্ডের অবসান ঘটাতে চায়। এমনটাই বললেন মার্কিন জ্বালানি সচিব ক্রিস রাইট। পাশাপাশি, তিনি জানান, ভারত-আমেরিকার ভবিষ্যৎ উজ্বল। নয়াদিল্লির উচিত রাশিয়ার পরিবর্তে অন্য কোনও দেশ থেকে জ্বালানি তেল কেনা।

Advertisement

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্রিস বলেন, “বিশ্বে প্রচুর তেল রপ্তানিকারক দেশ রয়েছে।ভারতের রুশ তেল কেনার দরকার নেই। ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনে কারণ এটি সস্তা। কোনও দেশই রাশিয়া থেকে তেল কিনতে চায় না। তাই তাদের সস্তায় বিক্রি করতে হয়। রাশিয়ার সঙ্গে তৈল বাণিজ্যের মাধ্যমে ভারত মস্কোর হাত শক্তিশালী করে তুলছে। রাশিয়া এমন দেশ যে নিত্যদিন হাজার হাজার মানুষ হত্যা করছে।” এরপরই তিনি বলেন, “ভারতকে শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য আমেরিকার নয়। ওয়াশিংটন চায়, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হোক।” ক্রিস আরও বলেন, “আমেরিকা-সহ বিশ্বের যে কোনও দেশ থেকে ভারত তেল কিনতে পারে। কিন্তু রুশ তেল নয়। এটাই আমাদের অবস্থান। আমরা যুদ্ধের অবসান চাই। একইসঙ্গে চাই ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও মজবুদ হোক।” ক্রিস নিজেকে ভারতের বড় সমর্থক বলেও উল্লেখ করেছেন। এমনকী দু’দেশেক জ্বালানি বাণিজ্যের সম্প্রসারণের কথাও বলেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, মার্কিন শুল্কবাণের ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে দেশীয় বাজারে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের পোশাক উৎপাদন ক্ষেত্রগুলি। জানা যাচ্ছে, শুল্ককোপে দেশের একাধিক বড় শহরে বস্ত্র উৎপাদন কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি এসসি রালহান বলেন, ”বিপুল পরিমাণ এই শুল্ক চাপানোর জেরে তিরুপুর, নয়ডা, সুরাটের বস্ত্র উৎপাদন সংস্থাগুলি তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ অধিক শুল্কের জেরে ভিয়েতনাম, বাংলাদেশের মতো প্রতিযোগিদের তুলনায় অনেকখানি পিছিয়ে পড়েছে তারা। বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা করছে মূল্যবান পাথর, গয়না, চিংড়ি, কার্পেট ও অন্যান্য আসবাবপত্র প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। ‘ট্রেড থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ’-এর অনুমান, ২০২৫-২৬ সালে আমেরিকায় ভারতের পণ্য রফতানি প্রায় ৪৩ শতাংশ কমে ৮৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪৯.৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াতে পারে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ