সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধুত্ব এখন শেষ। সাফ জানিয়ে দিলেন আমেরিকার প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন। সেই সঙ্গে অন্যান্য রাষ্ট্রনেতাদের জন্য তাঁর পরামর্শ, ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক থাকলেই যে সেটা রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে, এমনটা নয়। বল্টনের মতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্কের রসায়ন দিয়ে বিচার করেন ট্রাম্প। কিন্তু সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে, এমনটা বলা কঠিন।
ট্রাম্প যখন প্রথমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হন, সেই সময়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন বল্টন। কিন্তু প্রাক্তন বসের বিদেশনীতির তীব্র সমালোচনা করছেন তিনি। বল্টনের মতে, “ব্যক্তিগতভাবে মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আমার মনে হয়, সেই সুসম্পর্ক এখন অতীত। তার ফলে ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কয়েক দশক পিছিয়ে গিয়েছে। রাশিয়া এবং চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন মোদি। এমনকী আমেরিকার বিকল্প হিসাবেও নিজেকে তুলে ধরেছে চিন।”
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন বারবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে একবার দীর্ঘ কথোপকথনের পর আর ফোন রিসিভ করেননি মোদি। এর পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে বেশকিছু টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। ৫০ শতাংশ শুল্কের কোপ পড়েছে ভারতের উপর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ঘুরপথে ভারতকে দায়ী করেছেন ট্রাম্প। সব মিলিয়ে ক্রমেই তিক্ত থেকে তিক্ততর হয়েছে দু’জনের সম্পর্ক।
এহেন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের তরফে পেশ করা পিটিশনে লেখা হয়েছে, ‘রাশিয়া থেকে শক্তিসম্পদ কেনার কারণে আমরা ভারতের উপর শুল্ক চাপিয়েছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমস্যা মোকাবিলা করতেই এই শুল্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ সবমিলিয়ে, মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্ব এবং ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক-দু’টোই বর্তমানে নিম্নমুখী, সেকথা বলাই বাহুল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.