Advertisement
Advertisement
Donald Trump

আমেরিকায় ভারতীয়র মুণ্ডচ্ছেদ, বাইডেনকে দুষে হত্যাকারীকে ‘রাক্ষস’ বলল ট্রাম্প প্রশাসন

বাইডেন জমানায় যথাযথ পদক্ষেপ নিলে এই হত্যা এড়ানো যেন, দাবি ট্রাম্প প্রশাসনের।

Donald Trumps officials started blaming Joe Biden for the murder of an Indian in America
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 16, 2025 2:31 pm
  • Updated:September 16, 2025 2:31 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার টেক্সাসে ভারতীয় প্রৌঢ়ের মৃত্যুর ঘটনায় প্রাক্তন বাইডেন সরকারের দিকে আঙুল তুলল ট্রাম্প প্রশাসন। জানা গিয়েছে, ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া যুবক কিউবার নাগরিক ইয়োরডানিস কোবোস-মার্টিনেজ। এবং তাঁর কাছে অভিবাসনের কোনও বৈধ নথি ছিল না। এই অবস্থায় বাইডেন সরকারকে তোপ দেগে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বাইডেন জমানায় প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নিলে এড়ানো যেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড। শুধু তাই নয়, এই ভয়াবহ নৃশংসতার পর হত্যাকারীকে ‘রাক্ষস’ বলে তোপ দেগেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

Advertisement

সম্প্রতি আমেরিকার টেক্সাসের ডালাসে চন্দ্র নাগামাল্লাইয়া নামে এক ভারতীয় প্রৌঢ়কে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানের সামনেই তাঁর মাথা কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হত্যাকাণ্ডের যে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, মোটেলের প্যাসেজ ধরে চন্দ্রমৌলিকে তাড়া করছে হত্যাকারী মার্টিনেজ। এরপর তাঁকে ধরে ছুরি দিয়ে পরপর কোপ দিতে থাকে অভিযুক্ত। প্রৌঢ়কে খুন করে তাঁর মাথা কেটে নেওয়া। সেই কাটা মাথা নিয়ে কার্যত ফুটবল খেলে তারপর ডাস্টবিনে ফেলে দেয়। গোটা ঘটনার সময়ে মার্টিনেজকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন চন্দ্রমৌলির স্ত্রী এবং ১৮ বছর বয়সি পুত্র।

ঘটনার তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, অভিযুক্ত মার্টিনেজ কিউবার বাসিন্দা। সেখান থেকে সম্ভবত বেআইনিভাবে আমেরিকায় ঢুকেছে সে। অতীতে ফ্লোরিডা এবং হিউস্টনে নানা অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার হয়েছে মার্টিনেজ। এমনকি ক্যালিফোর্নিয়ার একটি অপরাধে দোষী সাব্যস্তও হয়েছে। বেশ কিছুদিন গারদের ওপারে থাকার পর আদালত নির্দেশ দেয়, মার্টিনেজকে কিউবায় ফেরৎ পাঠাতে হবে। কিন্তু অপরাধী মার্টিনেজকে দেশে ফেরাতে রাজি হয়নি কিউবার প্রশাসন। পরবর্তীকালে মার্টিনেজকে মুক্তি দেয় বাইডেন প্রশাসন, তাদের যুক্তি ছিল, কিউবা যাওয়ার পর্যাপ্ত বিমান ছিল না।

এই ঘটনায় বাইডেন সরকারকে দুষে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ সোশাল মিডিয়ায় লিখেছে, ‘ওই জঘন্য রাক্ষস এক ব্যক্তিকে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের সামনে মাথা কেটে নিল। তারপর কাটা মাথা মাটিতে লাথি মারতে মারতে নিয়ে গেল।’ একইসঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘এই হত্যাকাণ্ড ঠেকানো যেত যদি বাইডেন প্রশাসন ওই অপরাধীকে আমাদের দেশে খোলা ছেড়ে না দিত। মার্টিনেজকে কিউবা ফেরত নেবে না। ঠিক এই কারণেই আমরা অবৈধভাবে আমেরিকায় বাস করা বিদেশি অপরাধীদের তৃতীয় কোনও দেশে সরিয়ে দিচ্ছি।’ ট্রাম্প প্রশাসন ইঙ্গিত দিয়েছে, যদি এইসব ব্যক্তিদের তাঁদের নিজের দেশে ফেরত নেওয়া না হয় সেক্ষেত্রে তাঁদের ইসোয়াতিনি, উগান্ডা বা দক্ষিণ সুদানে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ