সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সবচেয়ে বর্ষীয়ান সদস্য ডাচেস অফ কেন্ট ক্যাথরিন। বয়স হয়েছিল ৯২। শুক্রবার এক ঘোষণায় এমনটাই জানানো হয়েছে বাকিংহাম প্যালেসের তরফে। ক্যাথরিন ছিলেন রানি তৃতীয় এলিজাবেথের তুতো বোন। তাঁর স্বামী ডিউক অফ কেন্ট প্রিন্স এডওয়ার্ড।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার লন্ডনের কেনসিংটন প্যালেসে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ক্যাথরিন। তাঁর অন্ত্যেষ্টি শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজ পরিবারে শোক পালিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯৬১ সালে বিয়ে হয় ক্যাথরিনের। সেই থেকেই তিনি রাজ পরিবারের সদস্য। উত্তর ইংল্যান্ডে মোতায়েন ছিলেন প্রিন্স এডওয়ার্ড। সেই সময় থেকেই তাঁদের প্রেমের সূত্রপাত। এরপর দু’জনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এদিন প্যালেসের তরফে যে বিবৃতি পেশ করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, ‘রাজা এবং রানি রাজপরিবারের সকল সদস্যের সঙ্গে কেন্টের ডিউক, তাঁর সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের প্রতি শোকজ্ঞাপন করেন। এবং দাতব্যের প্রতি ডাচেসের আজীবন নিষ্ঠা, সঙ্গীতের প্রতি তাঁর আবেগ এবং তরুণদের প্রতি তাঁর সহানুভূতির কথা স্মরণ করেন।’ ক্যাথরিন রেখে গেলেন তিন সন্তান ও দশ নাতি-নাতনিকে।
১৯৬৯ সাল থেকে উইলম্বডনে আসা শুরু করেন ক্যাথরিন। সেই সময় থেকেই তিনি পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। প্রতিযোগিতার ট্রফি তিনিই তুলে দিতেন বিজয়ীদের হাতে। এর মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয় ১৯৯৩ সালে। চেক খেলোয়াড় জানা নভোৎনা মেয়েদের ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন। তখন তাঁকে দেখা যায় ক্যাথরিনের কাঁধে মাথা রেখে কাঁদতে। এমনকী রানার্স আপের ট্রফিও তিনি আনতে যান পাঁচ বছর পরে। পরাজিত নভোৎনাকে ক্যাথরিনের সান্ত্বনা দেওয়ার দৃশ্যটি নিয়ে চর্চা শুরু হয়। যদিও ১৯৯৯ সাল থেকে উইলম্বডনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। সেবার তাঁকে বন্ধুপুত্রকে নিয়ে রয়্যাল বক্সে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তা নিয়েও জলঘোলা হয় বিস্তর। খেলার পাশাপাশি সঙ্গীতের প্রতিও প্রগাঢ় প্রেম ছিল ক্যাথরিনের। বহু বছর উত্তর ইংল্যান্ডের এক স্কুলে সঙ্গীতও শেখান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.