ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনের নাম আগেই জড়িয়ে গিয়েছিল। তাঁরা একসময় ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই দাবি। এবার মার্কিন ধনকুবের, টেসলা এবং এক্সের কর্ণধার স্বয়ং এলন মাস্কের নামও এপস্টেইন বিতর্কে জড়াল। এপস্টেইন বিতর্কে ট্রাম্পের নাম জড়ানোয় তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন মাস্ক। এবার তিনি নিজেই অভিযোগের নিশানায়।
আমেরিকায় সম্প্রতি ডেমোক্র্যাটেরা একটি ছ’পাতার নথি প্রকাশ করেছেন। তাতে এপস্টেইনের ব্যক্তিগত দ্বীপে মাস্কের সফরের কথা বলা রয়েছে। শুধু মাস্ক নন, নতুন নথিতে আরও অনেক হেভিওয়েট নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলি। যার মধ্যে মাইক্রেসফট কর্তা বিল গেটস এবং ট্রাম্পের প্রাক্তন উপদেষ্টা স্টিভ ব্যাননের নামও রয়েছে বলেই দাবি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাস্ক নিজেই। রবিবার তিনি বলেছেন, যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইন তাঁকে মার্কিন ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে নিয়ে যাওয়ার ‘চেষ্টা’ করেছিলেন। বহু মহিলার অভিযোগ এখানেই এপস্টেইন তাঁদের নির্যাতন করেন। মাস্কের দাবি, তিনি এপস্টেইনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন। বিল গেটস এবং ট্রাম্পের সহযোগী স্টিভ ব্যাননের মতো অন্যান্যদেরও নাম জড়িয়েছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন হাউসের ওভারসাইট কমিটির ডেমোক্র্যাটরা প্রকাশ করেন জেফ্রি এপস্টিনকে লেখা যৌনগন্ধী চিঠি, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষর রয়েছে। যদিও এই চিঠি লেখার কথা অস্বীকার করেন ট্রাম্প। এমনকী প্রথমবার চিঠিটি প্রকাশ করা ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর বিরুদ্ধে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন। ওয়াল স্ট্রিট প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ২০০৩ সালে এপস্টেইনের ৫০তম জন্মদিনে অনেকেই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ট্রাম্পও। তিনি যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাতে একটি নগ্ন নারীর ছবি আঁকা ছিল।
এপস্টেইন ছিলেন এক বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তাঁর বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৪০ জন মহিলা যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছিলেন। ধর্ষণ ও নাবালিকা পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত এপস্টেইন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ৪৫ বছরের কারাদণ্ড হত। তার আগেই আত্মহত্যা করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.