Advertisement
Advertisement

Breaking News

Elon Musk vs Trump

‘সংঘাত আরও তীব্র করো’, ‘বাড়ি পাঠানো’ মন্তব্যে ট্রাম্পকে পালটা কটাক্ষ মাস্কের

ট্রাম্প-মাস্কের সম্পর্কের অবনতির সূত্রপাত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’কে কেন্দ্র করে।

Elon Musk Responds To Trump’s Deportation Threat
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:July 2, 2025 3:54 pm
  • Updated:July 2, 2025 5:33 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংঘাত আরও তীব্র করো তোলো। খুবই লোভনীয় লাগছে। ট্রাম্পের ‘বাড়ি পাঠানো’ মন্তব্যের এবার পালটা দিল টেসলাকর্তা এলন মাস্ক। মাস্ক তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এই সংঘাত আরও তীব্র করে তোলো। খুবই লোভনীয় লাগছে। তবে এখন এই বিষয়গুলি এড়িয়ে যাচ্ছি। এতে এখন আমি মন দিচ্ছি না।” 

মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেসলাকর্তাকে কড়া সুরে বলেন, “বেশি বাড়াবাড়ি করলে মাস্ককে আমেরিকা থেকে পাততাড়ি গোটাতে হবে। তল্পিতল্পা গুটিয়ে ফিরে যেতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। পাশাপাশি, মাস্কের সংস্থার সমস্ত ভর্তুকিও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। একদিন পর মার্কিন প্রেসিডেন্টকে পালটা দিলেন মাস্ক।

ট্রাম্প এবং মাস্কের সম্পর্কের অবনতির সূত্রপাত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’কে কেন্দ্র করে। যে বিলের উদ্দেশ্য কর ও সরকারের ব্যয় সংকোচ। শুরু থেকেই এই বিলের ঘোর বিরোধী এলন মাস্ক। গত সোমবার মার্কিন সেনেটে আলোচনা হয় এই বিল। এর পরই সুর চড়িয়ে টেসলা কর্তা জানান, এই বিল পাশ হলে মার্কিন রাজনীতিতে এক নতুন দল খুলবেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘এই বিল পাশ হওয়ার পর দিনই ‘আমেরিকা পার্টি’ তৈরি হবে। যাতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকাবনের বাইরে দেশের মানুষ বিকল্প দলের মাধ্যমে তাঁদের কণ্ঠস্বর খুঁজে পান।’ মাস্কের এই হুমকির পরই জ্বলে ওঠেন ট্রাম্প। স্পষ্ট ভাষায় জানান, মাস্ক আমেরিকায় ব্যবসা করতে যত পরিমাণ ভর্তুকি পেয়েছেন তা অতীতে কেউ পাননি। এই ভর্তুকি না পেলে মাস্ককে এখানকার ব্যবসা বন্ধ করে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হবে। প্রসঙ্গত, মার্কিন নাগরিক হলেও এলন মাস্কের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়।

মাস্ক দাবি করেন, এই বিল নিয়ে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি। চুপিচুপি মধ্যরাতে এটি পাশ করা হয়েছে। এরপর ট্রাম্পের বিলের সমালোচনা করে প্রশাসনিক উপদেষ্টার পদ ছাড়েন টেসলা কর্তা। পাশাপাশি শুরু হয় বাদানুবাদ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হতাশার সুরে বলেছিলেন, ‘‘মাস্কের আচরণ হতাশাজনক।” পালটা এলন মাস্ক দাবি করেন, তাঁকে ছাড়াই জিততে পারতেন না ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের দখল নিতেন ডেমোক্র্যাটরা। সরকারি ব্যয় সংকোচের যে বিল নিয়ে এত সংঘাত, ক্ষমতায় এসেই সেই দপ্তরের প্রধান করা হয়েছিল এলন মাস্ককে। যদিও সংঘাতের জেরে সেই দপ্তর থেকে ইস্তফা দিয়েছেন টেসলা কর্তা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement