ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার লন্ডনের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখালেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। দাবি একটাই, অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে হবে সরকারকে। স্লোগান উঠল, “ফিরিয়ে দাও আমাদের দেশ।” কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে সকলের নজর কেড়েছে, ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন’ লেখা টুপি পরা জনতা এবং এলন মাস্কের বক্তৃতা।
বছরের শুরুতে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন’ প্রচারের হাত ধরে মার্কিন মসনদে ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অতি দেশপ্রেম প্রচারের পিছনে কাজ করেছেন ধনকুবের এলন মাস্ক। পরবর্তীকালে ট্রাম্প এবং মাস্কের বন্ধুত্বে বিচ্ছেদ ঘটলেও তাঁদের অ্যাজেন্ডায় কোনও পরিবর্তন হয়নি বলে মানছে রাজনৈতিক মহল। এবার সেই ভাবনার আঁচ পড়েছে ব্রিটেনেও। শনিবারের মিছিল এবং তার দাবি এর প্রমাণ বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
লন্ডনে টমি রবিনসনের অভিবাসন বিরোধী মিছিলে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন এলন মাস্ক। তিনি ব্রিটেনের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করেন, ব্রিটেন ধ্বংসের দোরগোড়ায় রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের বলেন, দেশে হিংসা বাড়ছে এবং ব্রিটেনবাসীর কাছে আগামিদিনে লড়াই অথবা মৃত্যু বাদে অন্য বিকল্প থাকবে না। উপস্থিত জনতাকে মাস্ক বলেন, “আপনাদের কাছে কোনও বিকল্প থাকবে না। আপনারা এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে আছেন যেখানে আপনি না চাইলেও হিংসার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। আপনাদের হয় লড়তে হবে, নয়তো মরতে হবে। আমার মনে হয় এটাই সত্যি।” ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’ মিছিলে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার জনতার সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাস্ক দাবি করেন, “ব্রিটেন ইতিমধ্যেই ধীরে ধীরে ‘অবক্ষয়ে’র দিকে এগোচ্ছে। এই প্রবণতা দ্রুত দেশের ‘বিপর্যয়’ ডেকে আনবে।”
এখানেই থামেননি মাস্ক। সরাসরি স্টারমার সরকারের উৎখাতের দাবি তোলেন তিনি। বলেন, “আমি সত্যিই মনে করি ব্রিটেনে পালাবদল দরকার। আপনি অপেক্ষা করতে পারবেন না। আমাদের হাতে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত সময় নেই। অনেক দেরি হয়ে যাবে। তার আগেই কিছু একটা করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং নতুন করে নির্বাচন করাতে হবে।” নিজের বক্তব্যে বামপন্থীদের সরাসরি আক্রমণ করে মাস্ক। চার্লি কার্কের সাম্প্রতিক হত্যার কথা তুলে ধরে মাস্কের দাবি, বামপন্থীরা হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে।
লন্ডনের বুকে শনিবারের দুপুর ছিল অত্যন্ত ঘটনাবহুল। অতি দক্ষিণপন্থি নেতা টমি রবিনসনের নেতৃত্বে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বিশাল মিছিল হয়েছে। টমির ডাকে প্রায় এক লাখ মানুষের জমায়েত হয় মধ্য লন্ডনে। পুলিশের অভিযোগ, এই জমায়েত থেকে বেশি কিছু পুলিশকর্মীকে আক্রমণ করা হয়। রবিনসনের ডাকে এই মিছিলের নাম ছিল ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’। ব্রিটেনের বহু জায়গা থেকে ইউনিয়ন জ্যাক হাতে মিছিলে হাজির হন মানুষ। পুলিশের দাবি এই মিছিলে যোগ দিয়েছে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে এই মিছিলের কারণে মধ্য লন্ডনের বহু রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পরে। অনেকেই মনে করছেন টমির এই উত্থানকে ঢাকতে জমায়েতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.