Advertisement
Advertisement
Zelensky-Trump Meeting

ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের মুখোমুখি জেলেনস্কি, চাপ সামলাতে সঙ্গী ইউরোপের প্রতিনিধি!

ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন জেলেনস্কি।

Europe to send representative to zelensky trump meeting

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:August 17, 2025 5:17 pm
  • Updated:August 17, 2025 5:17 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবে শেষ হয়েছে আলাস্কার বৈঠক। ট্রাম্প-পুতিনের তিন ঘণ্টার বৈঠকের পরেও মেলেনি সমাধান সূত্র। এর মাঝেই সোমবার ওয়াশিংটনে পৌঁছবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথমবার আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন জেলেনস্কি। তবে এবার তিনি একা নন। সঙ্গে থাকবেন ইউরোপের প্রতিনিধিরা। কিন্তু কেন এই ব্যবস্থা? শুধুই কি ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও তাৎপর্য।

Advertisement

আগের মতো কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ইউরোপীয় নেতারা জেলেনস্কির সঙ্গে একজন প্রতিনিধি পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গিয়েছে। ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব অথবা ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট তাঁর সঙ্গে যেতে পারেন। স্টাব ও রুট দু’জনেই ট্রাম্পের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন। এই বৈঠকে তাঁরা কূটনৈতিক সেতু হিসেবেও কাজ করতে পারেন। তাঁদের আশঙ্কা, এবারের বৈঠকে হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি চাপের মুখে পড়তে পারেন। যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে ইউক্রেনকে পুরো দোনেৎস্ক অঞ্চল রাশিয়ার হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন। ইউরোপ এবং ইউক্রেনের দাবি ট্রাম্প যেন এই দাবি মেনে না নেন। ইউরোপের নেতারা ভয় পাচ্ছেন তাঁরা না থাকলে ট্রাম্প আবার জেলেনস্কিকে চাপ দিতে পারেন। যদিও স্পষ্টভাষায় দোনেৎস্ক অঞ্চল রাশিয়াকে ছাড়ার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন জেলেনস্কি।

আলাস্কায় পুতিন উষ্ণ অভ্যর্থনা পাওয়ার পরে ইউরোপীয় দেশগুলির উদ্বেগ আরও বেড়েছে। ইউরোপীয় নেতাদের ধারণা, বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে তৃতীয় একজন থাকলে ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির মধ্যে নতুন কোনও সংঘাত এড়ানো যাবে। যদিও এর পিছনে ইউরোপের নিজস্ব স্বার্থও রয়েছে। যুদ্ধের আবহে সবসময় ইউক্রেনের পাশে থেকেছে ইউরোপ। কিন্তু শান্তির খোঁজে সব বৈঠকে বার বার উপেক্ষিত থেকেছে তারা। এবারের অলোচনায় যাতে সেরকম কিছু না হয় তাই এই পদক্ষেপ বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যদি পূর্ব দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেন সেনা প্রত্যাহার করে তবেই রাশিয়া অন্যান্য অঞ্চলে যুদ্ধ বন্ধ করতে প্রস্তুত। শুক্রবার আলাস্কার বৈঠকে পুতিন জানান, যদি ইউক্রেন ডনবাস অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণরূপে সরে যায়, তাহলে রাশিয়া খেরসন এবং জাপোরিঝিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে যুদ্ধ থামাবে। সেক্ষেত্রে রুশ সেনাবাহিনী বর্তমানে যেখানে আছে সেখানেই থামবে। গত শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেছেন, এখন শোনা যাচ্ছে, ট্রাম্প পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রস্তাবও দিয়েলেও মস্কো এখনও সম্মতি জানায়নি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ