সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করল ইরান! সেদেশের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই দুই রাষ্ট্রপ্রধান আসলে ঈশ্বরের শত্রু। তারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই গোটা বিশ্বের মুসলিমদের একজোট হয়ে এই দুই নেতাকে পরাস্ত করা উচিত। উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার কঠোর ফতোয়া জারি করেছেন ইরানের ধর্মগুরুরা। তার মধ্যে অন্যতম হল ১৯৮৯ সালে সাহিত্যিক সলমন রুশদির উপর জারি হওয়া ফতোয়া।
ইরানের অন্যতম শীর্ষ ধর্মগুরু আয়াতোল্লা নাসের মাকারেম শিরাজি রবিবার এই ফতোয়া জারি করেন। সেখানে লেখা রয়েছে, “কোনও ব্যক্তি বা সরকার যদি মারজা (শিয়া ধর্মগুরু)র বিরুদ্ধে হুঙ্কার দেয় তাহলে সেটা ঈশ্বরের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা। কোনও মুসলিম ব্যক্তি বা ইসলামিক রাষ্ট্র যদি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণাকারীদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে সেটাও অপরাধ। তাই এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে শিক্ষা দিতে গোটা মুসলিম সমাজের একজোট হওয়া উচিত। সেই সংগ্রামে যদি কোনও মুসলিমের ক্ষতি হয় তাহলে সেই ব্যক্তিকে ঈশ্বরের যোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইজরায়েল। সেই সময় থেকেই প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। একদিন পর সেই আশঙ্কা সত্যি করে ইজরায়েলে পালটা হামলা চালায় ইরান। ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয়। মৃত্যু হয় ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি, ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের কমান্ডার এবং দুই শীর্ষ সেনা আধিকারিকের। ইরানের প্রত্যাঘাতে বারবার কেঁপে ওঠে তেল আভিভ-সহ গোটা ইজরায়েল। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয় ২২ জুন। ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে আমেরিকা। ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায় মার্কিন বায়ুসেনা।
১২ দিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর অবশেষে যুদ্ধ থেমেছে। কিন্তু দুপক্ষে বাগযুদ্ধ চলছিলই। এহেন পরিস্থিতিতে দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে নিশানা করে যেভাবে ফতোয়া জারি করল ইরানের ধর্মীয় নেতৃত্ব, তার জেরে আবারও অশান্তি বাড়তে পারে বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.