সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শত্রু নয়, সঙ্গী। ভারতের সঙ্গে চিনের বর্তমান দ্বিপাক্ষিক পরিস্থিতিকে এভাবেই বর্ণনা করলেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি। রবিবার এসসিও সম্মেলনের আগে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই বৈঠক থেকে সৌহার্দ্যের বার্তা দেন দু’জনেই। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভারত-চিন বন্ধুত্বের সুর মিসরির গলায়।
কাজানে মোদি-জিনপিং বৈঠকের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উন্নতি হয়েছে, মনে করিয়ে দিয়েছেন বিদেশসচিব। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে তিনি বলেন,”দুই দেশ মিলিয়ে ২৮০ কোটি মানুষ বসবাস করেন। ভারত এবং চিনের মধ্যে স্থিতিশীল সদ্ভাব থাকলে দুই দেশের মানুষের পক্ষেই সেটা লাভজনক, এটা ভারত-চিনের রাষ্ট্রপ্রধানরা বুঝেছেন। তাঁরা আরও বুঝেছেন, মতানৈক্য থাকলেও সেটাকে দ্বন্দ্ব পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়। বরং ‘এশীয় শতাব্দী’ গড়ে তুলতে একে অপরের সহযোগী হওয়া উচিত ভারত এবং চিনের।”
মিসরি আরও বলেন, সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমন নিয়েও সদর্থক আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। সেনা সরানো নিয়ে জিনপিং চার দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেই নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও ভারসাম্য বজায় রেখে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, সন্ত্রাসদমন, সীমান্ত এলাকায় নদীগুলির ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ভারত এবং চিনের অর্থনীতি বিশ্ববাণিজ্যে স্থিরতা আনতে পারে, এমনটাই মনে করছেন মোদি-জিনপিং।
চিনা প্রেসিডেন্টের পর রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠকে বসতে চলেছেন মোদি। সাংবাদিক সম্মেলনে মিসরি জানান, সোমবার ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মোদির বৈঠক রয়েছে। সেই আলোচনা সেরেই ভারতে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে এসসিও সম্মেলনের প্লেনারি সেশনে বক্তৃতা দেবেন মোদি। এসসিওর অধীনে কীভাবে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত, সেকথাই প্লেনারিতে তুলে ধরবেন মোদি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.