Advertisement
Advertisement
France Palestine

প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রের মর্যাদা ফ্রান্সের! ‘লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত’, ক্ষুব্ধ ইজরায়েল-আমেরিকা

ম্যাক্রোঁর সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কোন কারণ?

France to declare Palestine as state, US and Israel fumes
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:July 25, 2025 10:35 am
  • Updated:July 25, 2025 3:38 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যালেস্টাইনকে এবার রাষ্ট্রের মর্যাদা দিতে চলেছে ফ্রান্স। বৃহস্পতিবার সেদেশের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক্স হ্যান্ডেলে জানান, গাজার যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। আমজনতাকে বাঁচানো দরকার। তাই আগামী সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় গাজাকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা করবেন ম্যাক্রোঁ।

Advertisement

২০২৩ সালে ইজরায়েলে হামাসের আক্রমণের পর তেল আভিভের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। হামাসের হামলার তীব্র নিন্দা করেছিলেন। কিন্তু গত কয়েকমাসে ইজরায়েল যেভাবে গাজায় আক্রমণ চালিয়েছে, তাতে বিরক্ত ম্যাক্রোঁ। সেকারণেই এবার তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, প্যালেস্টাইনকে পূর্ণরাষ্ট্রের মর্যাদা দেবে ফ্রান্স। ম্যাক্রোঁর কথায়, সাধারণ মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই অবিলম্বে যুদ্ধ থামিয়ে পণবন্দিদের উদ্ধার করতে হবে। সেইসঙ্গে ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে গাজায়।

বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে ফরাসি ভাষায় দীর্ঘ পোস্ট করেন ম্যাক্রোঁ। সেখানেই তিনি দাবি করেন, হামাসকে নিরস্ত্র করা অত্যন্ত প্রয়োজন। সেকারণেই প্যালেস্টাইনকে স্বাধীন মর্যাদা দেওয়া দরকার। তাছাড়া আর কোনও উপায় নেই। ম্যাক্রোঁ লেখেন, “মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরুক, এটাই চায় ফ্রান্সের জনতা।” উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই গাজায় যুদ্ধবিরতির বৈঠক থামিয়ে দেয় আমেরিকা। তাদের মতে, হামাসের তরফে সহযোগিতা মিলছে না।

উল্লেখ্য, ম্যাক্রোঁর এহেন সিদ্ধান্তের নেপথ্যে নির্বাচনী রাজনীতি রয়েছে। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে ফ্রান্সে। ফলে গাজা-সহ মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক ইস্যুতে সেদেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচিও হয়ে থাকে। সম্ভবত সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিতে চাইছেন ম্যাক্রোঁ। ইউরোপের বৃহত্তম দেশ হিসাবে প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করতে চলেছে ফ্রান্স।

এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরেই ইজরায়েল এবং আমেরিকা তুলোধোনা করেছে ফ্রান্সকে। মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও বলেন, হামাসের হয়ে কথা বলছে ফ্রান্স। তাদের পদক্ষেপ শান্তিস্থাপনের পক্ষে ক্ষতিকারক। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কথায়, এহেন পদক্ষেপ আসলে ইরানি ছায়াযুদ্ধের অস্ত্র। বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে দাবি করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ